বীরেন্দ্র সেহওয়াগ দুই বিদেশি তারকা অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, তারা আইপিএল ২০২৫-এ দলকে সত্যিকারের অবদান দেওয়ার ক্ষুধা বা মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছেন।
Ad
দুই বিদেশি ক্রিকেটারের সমালোচনায় বীরেন্দ্র সেহওয়াগ (ছবি- ANI Photo)
অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোনের দিকে আঙুল তুলেছেন ভারতের প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। আসলে সোজা কথা সোজা ভাবেই বলতে ভালোবাসেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। কখনও কারোর সমালোচনা করতে গিয়ে কোনও রাখঢাক না করে নিজের স্টাইলেই মন্তব্য করেন বীরু। আর এবারও এমন কিছু করলেন। এবারের সেহওয়াগের তীরে বিদ্ধ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোন।
ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ দুই বিদেশি তারকা অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, তারা আইপিএল ২০২৫-এ দলকে সত্যিকারের অবদান দেওয়ার ক্ষুধা বা মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোনকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সেহওয়াগ বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, ম্যাক্সওয়েল আর লিভিংস্টোনের ভিতরে সেই খিদে আর নেই। ওরা তো এখানে ছুটি কাটাতে আসে। মজা করে, একটু খেলাধুলা করে, তারপর চলে যায়। দলের জন্য লড়ার কোন স্পৃহা ওদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।’
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, যিনি একসময় তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিং ও ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত ছিলেন, এই মরশুমে নিজেকে মলিন প্রতিচ্ছবিতে পরিণত করেছেন। এবারের আইপিএলে তিনি ৬টি ম্যাচে মাত্র ৪১ রান করেছেন, গড় মাত্র ৮.২০, আর স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০০। বল হাতে কিছুটা সাফল্য পেলেও (৮.৪৬ ইকোনমিতে ৪ উইকেট) ব্যাট হাতে তিনি নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে পারছেন না।
লিয়াম লিভিংস্টোন কিছুটা শক্তিশালী ইনিংস খেললেও, ধারাবাহিকতা একেবারেই নেই। ৭ ম্যাচে তার সংগ্রহ ৮৭ রান, একটি মাত্র ফিফটি। গড় ১৭.৪০। অথচ RCB তাঁকে নিয়েছিল ৮.৭৫ কোটি টাকায়। তার পার্ট-টাইম স্পিনও কিছু করতে পারেনি। ৭ ম্যাচে মাত্র ২টি উইকেট।
বীরেন্দ্র সেহওয়াগ আরও বলেন, ‘আমি বহু প্রাক্তন খেলোয়াড়ের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি, কিন্তু তাদের মধ্যে এক বা দুইজনকেই সত্যিই দলের জন্য কিছু করার আগ্রহ দেখাতে দেখেছি।’ আইপিএলে বিদেশি তারকাদের পিছনে যে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করা হয়, তাতে প্রত্যাশাও থাকে আকাশছোঁয়া। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল ও লিভিংস্টোন যদি নিজেদের ক্ষুধা ও দায়বদ্ধতা ফিরে না পান, তাহলে তারা শুধুই দর্শক হয়ে থাকবেন। একটি এমন প্রতিযোগিতা যেখানে সবকিছুই ‘ইমপ্যাক্ট’।