মাস দু’য়েক আগে দলীয় কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। কালনার মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামে তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই মঙ্গলবার মালডাঙায় কর্মিসভা থেকে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। নাম না করে নিশানা করলেন মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখকে।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী বিরোধী প্রতিবাদে পুলিশের লাঠিচার্জ কেন? প্রশ্ন মমতারই মন্ত্রীর
সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, দলের সঙ্গে অন্যায় করলে জনগণ কাউকে ছাড়বে না। সিপিএমকে যদি বাংলার মানুষ সরাতে পারে, তবে একজন নেতাকে গুঁড়িয়ে দিতে সময় লাগবে না। এখানেই থামেননি তিনি। আরও বলেন, ‘আমাকে মারলে হাজারটা সিদ্দিকুল্লা তৈরি হবে। দলই ব্যবস্থা নেবে। কাউকে মন্ত্রীর উপদেশ লাগবে না, দলের কর্মীরাই হাত-পা ভেঙে দেবে।’ মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তৃণমূল কংগ্রেসে ব্যক্তি নয়, দলই সবার ওপরে। কারও ব্যক্তিগত ক্ষমতা দিয়ে সংগঠনে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। তাঁর কড়া ভাষায়, নিজেকে সংযত না করলে নিজের ক্ষতি হবে।
এরপরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, তাঁর ওপর এত রাগ কিসের? কর্মীদের উদ্দেশে সিদ্দিকুল্লার নির্দেশ, যদি কোনও নেতা অকারণে ধমক দেন, তবে সরাসরি তাঁকে ফোন করে জানাতে হবে। তাঁর বক্তব্য, ফোন নম্বর পাবেন। কে হুমকি দিল, তা জানাতে হবে। তিনি তা দেখতে চান। রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক বার্তার সঙ্গেই এক সুরে কথা বললেন সিদ্দিকুল্লা। তাঁদের মতোই তিনিও বুঝিয়ে দিলেন দলই সর্বশক্তিমান, ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতি চলবে না।