চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে রাজ্যের গ্রামীণ উন্নয়ন খাতে নতুন করে গতি আনতে অতিরিক্ত ১,৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই অর্থ আসবে রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (আরআইডিএফ) থেকে। মূলত নাবার্ড বা জাতীয় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে প্রতিবছর রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় সহজ শর্তে ঋণ আকারে এই বরাদ্দ করা হয়। এবারের প্রাথমিক অনুমোদন ১,৪০০ কোটি টাকা হলেও প্রশাসনিক মহলের ধারণা, প্রয়োজনে এই অঙ্ক আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা, সিভিক-ভিলেজ পুলিশদের জন্য বিশেষ কোটা
সোমবার এই খাত নিয়ে নবান্নে গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠক হয়। বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ছাড়াও অর্থ দফতর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দফতরের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নাবার্ড কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গ যেভাবে অর্থ ব্যবহার করেছে, তা প্রশংসনীয়। বরাদ্দ অর্থ যথাযথভাবে কাজে লাগানোর অভিজ্ঞতাই এবছরের জন্য নতুন করে আস্থা বাড়িয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই অর্থ দিয়ে রাস্তা, সেতু, সেচ ব্যবস্থা, গ্রামীণ আবাসন ও বাজার পরিকাঠামো উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্পগুলির খুঁটিনাটি তালিকা তৈরি করে নাবার্ডকে জানানো হবে, যাতে অনুমোদনের ভিত্তিতে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন শুরু করা যায়।
রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই বারবার অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা কিংবা প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির অর্থ বরাদ্দ দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়েছে। ফলে বিকল্প পথ হিসেবে নবান্ন নিজস্ব প্রকল্প ও রাজ্যের তহবিল ব্যবহার করে গ্রামীণ উন্নয়নের গতি বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আরআইডিএফ বাবদ অতিরিক্ত ১,৪০০ কোটি টাকা আসা রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতিকে নতুন শক্তি জোগাবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
এই অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দকে ঘিরে সরকারি মহলে আশা জেগেছে। তাঁদের মতে, আর্থিক অনটনের মাঝেও এই তহবিল গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান বাড়াতে ও সামাজিক পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করতে কার্যকর ভূমিকা নেবে। আগামী দিনে এ ধরনের প্রকল্প সরাসরি গ্রামীণ ভোটব্যাঙ্ককেও প্রভাবিত করতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।