কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অসম্মানের অভিযোগে মালদহের চাঁচল থেকে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট সভাপতি এ বি সোয়েল ওরফে নাসিমুল হককে। সোমবার রাতে চাঁচল থানার পুলিশ তাঁর নয়াটোলা এলাকার বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, রবীন্দ্রনাথের ছবি পোড়ানোর ঘটনায় তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। ভিডিয়ো ফুটেজের ভিত্তিতে অন্যান্যদেরও শনাক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশে কবিগুরুর পৈতৃক ভিটে ভাঙায় কী পদক্ষেপ?’প্রশ্ন অভিষেকের, জবাব কেন্দ্রের
ঘটনার সূত্রপাত গত ২ সেপ্টেম্বর। সেদিন চাঁচল কলেজের সামনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল টিএমসিপি। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রতিকৃতির পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার কয়েকদিন পরই স্থানীয় এক বাসিন্দা চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শাসকদলের ছাত্র সংগঠন তৎপর হয়ে ওঠে। সোমবারই টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, এ বি সোয়েলকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি চাঁচল কলেজ ইউনিটও ভেঙে দেওয়া হবে। ওই কমিটির সদস্য ছিলেন মোট ৩০ জন।
প্রসঙ্গত, সোয়েল চাঁচল কলেজেরই ছাত্র। দু’বছর আগে তিনি টিএমসিপি ইউনিট সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি স্নাতক স্তরের ষষ্ঠ সেমিস্টারের পড়ুয়া। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁকে মালদহের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সামাজিক মাধ্যমে ভিডিয়ো পোস্ট করে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রতিবাদ মিছিলও করেছেন।