একটা সময় ছিল যখন অমিতাভ বচ্চনের হাত ধরে কোনও ছবিতে কাজ করাকে সাফল্যের গ্যারান্টি হিসেবে বিবেচনা করা হত। বলিউডের অ্যাংরি ইয়ং ম্যান প্রায় সব ধরণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এখনও ভারতীয় সিনেমায় সক্রিয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, তার একটি ছবি তৈরি হয়েছিল যা কখনও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিই পায়নি। তা সত্ত্বেও, এর নাম অমিতাভের ভাবমূর্তির সঙ্গে অনেকাংশে মিলে যায়।
আরও পড়ুন: জনপ্রিয় অভিনেতার তালিকায় ১-১০ নেই শাহরুখ, আমির! সিদ্ধার্থ-আলিয়া সহ আর কে কে আছেন?
সেই যুগের সফল অভিনেতা-পরিচালক মেহমুদ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে রেখা, মেহমুদ, মদনপুরী এবং রাকেশ রোশনকে নিয়ে একটি ছবি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। এই ছবির নাম ভাবা হয়েছিল ‘লম্বু দাদা’। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল অমিতাভ বচ্চনের। তাঁর চরিত্রটিকে একটু অন্য রকম ভাবনা দেওয়া হয়েছিল। অমিতাভ এর আগে মেহমুদের সঙ্গে 'বোম্বে টু গোয়া'য় কাজ করেছিলেন এবং সেই ছবিটি হিট হয়েছিল।
কেন ছবিটি মুক্তি পায়নি?
অমিতাভ বচ্চন এবং অন্যান্য অভিনেতারাও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, ‘লম্বু দাদা’ও বক্স অফিসে অসাধারণ সাফল্য পাবে। এই ছবিটির ঘোষণা হয় ১৯৭৮ সালে। নির্মাতা, কলাকুশলী এবং দর্শকরা এই ছবিটি নিয়ে খুবই উত্তেজিত ছিলেন। কিন্তু এই ছবিটি কখনও মুক্তি পায়নি। যদি এই ছবিটি তৈরি হত, তাহলে হয়তো অমিতাভের কেরিয়ারে আরও একটি নতুন ব্লকবাস্টার হিট যোগ হত। আসলে এই ছবিটি দুটি পর্যায়ে তৈরি হয়েছিল। প্রথমে যখন এর কাজ শুরু হয় এবং সবকিছু চূড়ান্ত হয়। তারপর এই ছবিটি স্থগিত করা হয়। কারণ সে ভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ছড়িয়ে পড়েছে ‘ভুয়ো অন্তরঙ্গ ছবি’, দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঐশ্বর্য, হাঁটলেন শ্বশুরের পথে
কিন্তু শিরোনামটি খুবই আকর্ষণীয় হওয়ায়, প্রায় ১০ বছর পর আবার শুরু হয়। এবার ছবির পরিচালক থেকে শুরু করে প্রযোজক এবং তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রী সবকিছুই পরিবর্তন করা হয়। গল্পেও অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। বলা যায় যে, এক ভাবে পুরো ছবিটি নতুন করে তৈরি করা হয়, শুধুমাত্র শিরোনামটি পুরনো রাখা হয়েছে। নতুন গল্পে ছিলেন কবীর বেদী এবং মাধবী, এবং এটি ছিল একটি ছোট শিশু এবং একজন অপরাধীর মধ্যে সম্পর্কের গল্প। নতুন সংস্করণটি মুক্তি পায়, কিন্তু বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করতে পারেনি।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।