মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছেন অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই। কিন্তু আচমকা কেন আদালতের দ্বারস্থ বচ্চন বধূ? জানা গিয়েছে নিজের 'ব্যক্তিত্বের অধিকার' কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী। লাইভ ল-এর রিপোর্ট অনুসারে, নায়িকার আইনজীবী আদালতে তাঁর ছবিগুলি অনুমোদন ছাড়াই ব্যবহার করার বিবরণ জমা দিয়েছেন। এবং তাঁর ছবি, নাম কিংবা কণ্ঠস্বর কোনও রকম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার যাতে না করা যায় সেই আবেদন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরই একই আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। এরপর গত ২৫শে নভেম্বর থেকে অমিতাভের কন্ঠস্বর কিংবা ছবি বিনা অনুমতিতে ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
অভিনেত্রীর আইনজীবী সন্দীপ শেঠিও সোশ্যাল মিডিয়ায় নায়িকার সে সকল এআই-জেনারেটেড কনটেন্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে তা আদালতের সামনে রাখেন। সূত্রের খবর সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘তাঁরা ঐশ্বর্যর নাম ব্যবহার করে অর্থ সংগ্রহ করছে। ইউটিউবের স্ক্রিনশটগুলিতে যেখানে ছবিগুলি মর্ফ করা হয়েছে, এগুলি কখনই ঐশ্বর্য রাইয়ের ছবি নয়। তিনি এ ধরনের ছবির অনুমোদনও দেননি। সমস্ত এআই তৈরি করেছে’।
আইনজীবী আরও অভিযোগ করেছেন যে ঐশ্বর্য রাইয়ের কিছু ‘সম্পূর্ণ অবাস্তব’ অন্তরঙ্গ ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ নায়িকার ছবি ব্যবহার করে কফি মগ থেকে টি-শার্ট তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘একজন ভদ্রলোক শুধু আমার নাম ব্যবহার করে ও মুখ ছাপিয়ে টাকা সংগ্রহ করছেন। কারুর যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমার মক্কেলের ছবি ব্যবহৃত হচ্ছে। যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক’।
পোশাকবিক্রেতা, বই প্রকাশনী সংস্থা-সহ আরও নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করতেই ঐশ্বর্যর এই পদক্ষেপ। ঐশ্বর্য নেশন ওয়েলথ নামের এক সংস্থা নায়িকার নাম ব্যবহার করে ব্য়বসা চালাচ্ছে, এমনকী তাঁদের লেটারহেটে চেয়ারপার্সনের জায়গাতেও ঐশ্বর্যর নাম রয়েছে। এই সব নিয়েই বিরক্ত নায়িকা।
বিচারপতি তেজাস কারিয়া এদিন নায়িকার কৌঁসুলির আবেদন শোনেন। এই মামলায় শীঘ্রই ইনজাংশন জারি করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারপতি।