বাংলাদেশের পর এবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ভারতের অপর প্রতিবেশী দেশ নেপালে। ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-সহ ২৬টি সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নেপাল সরকার, এরই প্রতিবাদে পথে নামে জেন-জেড। তাদের উপর সহিংস দমন-পীড়নের চালায় ওলি সরকার। বিক্ষোভ আন্দোলন মুহূর্তের রূপ নেয় মৃত্যুমিছিলে। মৃত্যু হয় ২১ জন আন্দোলনকারীর।
মঙ্গলবার শেষপর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে এবং সেনাবাহিনীর অনুরোধে পদত্যাগ করেথেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। নেপালের রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, যুবসমাজের উপর হওয়া নৃশংস অত্যাচারের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন মণীষা কৈরালা।
বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। দুর্নীতি এবং সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিতর্কিত সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসা জেনারেল জেড বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্বে মারাত্মক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে তার মন্তব্য এসেছে। নেপালের বাসিন্দা মনীষা তার মতামত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। রক্তাক্ত জুতোর একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আজ নেপালের জন্য একটি কালো দিন। বন্দুকের জোরে সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। ন্য়ায় প্রয়োজন। দুনীর্তির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার এই পরিণাম মেনে নেওয়া যায় না।’
সোমবার কাঠমান্ডুতে সংসদের কাছে নেপালি নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালালে কমপক্ষে ২১ জন নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের ফলে শুরু হয়েছিল এই বিক্ষোভ, যা দুর্নীতির ক্রমবর্ধমান অভিযোগের মধ্যে জনতার কণ্ঠরোধের চেষ্টা হিসাবে দেখা হয়েছে।
হাজার হাজার তরুণ বিক্ষোভকারী যখন সংসদ প্রাঙ্গণে হামলা চালায়, তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এর জবাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে, যার ফলে সহিংস সংঘর্ষ হয়। দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বেশ কয়েকটি শহরে সেনা মোতায়েন করা হয়।
কাঠমান্ডু এবং বীরগঞ্জ, ভৈরহাওয়া, বুটওয়াল, পোখারা, ইটাহারি এবং দামাকসহ অন্যান্য প্রধান শহরগুলিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তীব্র রাজনৈতিক চাপ এবং জনগণের ক্ষোভের মুখোমুখি হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক সহিংস ঘটনার নৈতিক দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন।মঙ্গলবার বেলা গড়ালে সরে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রীও।