এই মুহূর্তে জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকটি অন্যান্য ধারাবাহিকের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে টিআরপির দিক থেকে। জিতু কমল এবং দিতিপ্রিয়া রায়ের অসাধারণ কেমিস্ট্রি যেন বারবার মানুষের মন কেড়েছে। যদিও মাঝে তৈরি হয়েছিল একটি বিতর্ক, তবে সে সব এখন অতীত।
এই মুহূর্তে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, জিতু এবং দিতিপ্রিয়ার মধ্যে ভালোবাসা গভীর হতেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে দিতিপ্রিয়া অরফে অপর্নার বাবা। বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে থাকে অপর্ণা। অর্থের প্রয়োজনে আটকে যায় বাবার চিকিৎসা।
আরও পড়ুন: ফের ধারাবাহিকে ফিরতে চলেছেন শোলাঙ্কি, বিপরীতে থাকবেন কে?
আরও পড়ুন: ‘শতরূপে উত্তম’! উত্তম কুমারের ৩০টি অনবদ্য ছবি দেখতে পাবেন একসঙ্গে, কোথায়? রইল হদিশ
অপর্ণার এই কঠিন সময়ে তার পাশে এসে দাঁড়ায় আর্য। আর্থিক সহায়তা করে বিপদের হাত থেকে বাঁচায় অপর্ণার বাবাকে। আবারও আর্যর কাছে ঋণী হয়ে যায় অপর্ণা। তবে এ সমস্ত ব্যাপার নয়, এবার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকের একটি বিশেষ দৃশ্য ঘিরে তৈরি হয়েছে তুমুল ট্রোলিং।
ধারাবাহিকের একটি দৃশ্যে দেখতে পাওয়া যায়, অপর্ণা বাবার বেডের পাশে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করে। স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে অপর্ণার বাবা, মুখে কিছুই বলতে পারেন না তিনি। কিন্তু এই দৃশ্যে এমন কিছু ধরা পড়ে, যা দেখে হাসিতে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা।
ওই বিশেষ দৃশ্যে দেখতে পাওয়া যায়, হাতে নয়, বরং নাক দিয়ে স্যালাইন দিয়ে টানছেন রোগী। শুধু তাই নয়, উল্টো মাস্ক পড়ানো থাকে রোগীর মুখে। এই দৃশ্যটি সমাজের মাধ্যমে তুলে আনেন সুস্মিতা দলুই নামে এক জনৈক নেটিজেন।
এই বিশেষ দৃশ্যটি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই একের পর এক হাসির কমেন্টে ভরে যায় পোস্টটি। একজন লেখেন, ‘এই সিরিয়ালের চক্করে কদিন পর দেখবেন রক্ত কোল্ডড্রিংসের মত মুখে স্ট দিয়ে পুচপুচ করে টেনে নিচ্ছে।’ একজন লেখেন, ‘মেডিকেল সাইন্স রেস্ট ইন পিস।’ তৃতীয় একজন আবার পুরনো একটি ধারাবাহিকের দৃশ্যের ছবি তুলে বলেন, ‘স্কচ বাইটটা কিন্তু দুর্দান্ত ছিল।’
আরও পড়ুন: 'এমন গল্প আগে দেখেননি...', জোয়ার- ভাঁটা নিয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রুতি- আরাত্রিকারা
আরও পড়ুন: ‘কেউ যোগাযোগ করবেন না…’, ঘোর বিপদে দেবচন্দ্রিমা, পাশে দাঁড়ালেন শ্রুতি
অন্য একদিন আবার মজা করে লেখেন, ‘মাথার সামনে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেখতে পাচ্ছি। ওটা তার মানে ভেইনে ঢোকানো হচ্ছে।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘মন খারাপ থাকলে এই কমেন্টগুলো পড়ুন মন ভালো হয়ে যাবে।’ কেউ আবার ‘সিভিক স্যালাইন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন।