প্রথম ইনিংসে রজত পতিদার একা লড়াই চালান ভারতীয়-এ দলের হয়ে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্রিটিশ শিবিরে পালটা লড়াই ফিরিয়ে দেন সাই সুদর্শন, সরফরাজ খান, প্রদোষ রঞ্জন পালরা। যদিও ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে চার দিনের প্রথম বেসরকারি টেস্টের প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ভারতীয়-এ দলের ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। দ্বিতীয় দফায় রান পাননি রজত।
আমদাবাদে ইংল্যান্ড লায়ন্স ৮ উইকেটে ৫৫৩ রান তুলে তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারতীয়-এ দল দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২১৫ রান তোলে। ১৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন রজত পতিদার।
তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে ভারতীয়-এ দল তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ২২৭ রানে। রজত পতিদার ১৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৫৮ বলে ১৫১ রান করে আউট হন। ইংল্যান্ডের ম্যাথিউ পটস ও ম্য়াথিউ ফিশার ৪টি করে উইকেট দখল করেন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩২৬ রানে এগিয়ে থেকেও ভারতীয়-এ দলকে ফলো-অন করায়নি ইংল্যান্ড লায়ন্স। পরিবর্তে তারা নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইংল্যান্ড ২৯.৩ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রান তুলে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসও ডিক্লেয়ার করে দেয়। প্রথম ইনিংসে ১৫৪ রান করা কিটন জেনিসং দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ রান করে আউট হন। ৫৬ রান করে নট-আউট থাকেন জেমস রিউ। ২৪ রান করেন ব্রাইডন কার্স।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে ২টি উইকেট নেন প্রদোষ রঞ্জন পাল। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন নভদীপ সাইনি, তুষার দেশপান্ডে, মানব সুতার ও পুলকিত নারাং। উইকেট পাননি কাভেরাপ্পা।
জয়ের জন্য ৪৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ভারতীয়-এ দল। তারা তৃতীয় দিনের শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান তোলে। সুতরাং, শেষ দিনে জয়ের জন্য ভারতের দরকার আরও ৩৩১ রান। জিততে হলে ইংল্যান্ডকে তুলে নিতে হবে ৬টি উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন ঈশ্বরন। ৪ রান করে মাঠ ছাড়েন রজত পতিদার। হাফ-সেঞ্চুরি করে সাজঘরে ফেরেন সরফরাজ খান। তিনি ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৭ বলে ৫৫ রান করেন। হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন প্রদোষ রঞ্জন পাল। তিনি ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৭ বলে ৪৩ রান করেন।
দিনের শেষে সাই সুদর্শন নট-আউট থাকেন ৫৩ রানে। ১১৬ বলের ইনিংসে তিনি ৭টি চার মারেন। ১১ বলে ১ রান করে নট-আউট থাকেন মানব সুতার। ইংল্যান্ড লায়ন্সের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ম্যাথিউ পটস ও কালাম পারকিনসন।