হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার সুষ্ঠ সমন্বয়ের উদ্দেশ্যেই টিম ইন্ডিয়ার সহকারী কোচ নিযুক্ত করা হয়েছিল অভিষেক নায়ারকে। তবে জাতীয় দলের চাকরি বেশিদিন টেকেনি মুম্বইয়ের প্রাক্তন তারকার। বিসিসিআই গম্ভীরের সাপোর্ট স্টাফের দল থেকে ছেঁটে ফেলেছে নায়ারকে। অভিষেক পুনরায় ফিরে এসেছেন কেকেআরের আঙিনায়।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, টিম ইন্ডিয়ার সুপারস্টার ক্রিকেটাররা যেভাবে কৃতিত্ব দিচ্ছেন নায়ারকে, তাতে বিসিসিআই তাঁকে জাতীয় দল থেকে সরিয়ে দিয়ে ভুল করল কিনা, সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আইপিএলের মঞ্চেই লোকেশ রাহুলের মুখে শোনা গিয়েছে অভিষেক নায়ারের বন্দনা। এবার নায়ারকে কুর্নিশ জানালেন রোহিত শর্মা।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে দিল্লির হয়ে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে উঠেই অভিষেক নায়ারকে কৃতিত্ব দেন লোকেশ রাহুল। এবার ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার কাছ থেকে বিরাট সার্টিফিকেট পেলেন নায়ার। রোহিত আইপিএলে ফর্মে ফিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃতজ্ঞতা জানান কেকেআরের সহকারী কোচকে।
চলতি আইপিএলে একেবারেই পরিচিত ফর্মে ছিলেন না রোহিত শর্মা। শেষমেশ রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি করেন হিটম্যান। তিনি ৪টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ বলে ৭৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জেতেন রোহিত।
চেন্নাই ম্যাচের পরে রোহিত শর্মা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃতজ্ঞতা জানান অভিষেক নায়ারকে। রোহিত বিস্তারিত কিছু লেখেননি। শুধু ২টি শব্দেই ধন্যবাদ জানান নায়ারকে। রোহিত লেখেন, ‘থ্যাঙ্কস ব্রো’। তবে তিনি যে নায়ারকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন, সেটা স্পষ্ট করে দিতে ভোলেননি হিটম্যান।
কীভাবে রোহিতকে ফর্মে ফিরতে সাহায্য করেন নায়ার
কেকেআর শিবিরে যোগ দেওয়ার আগে মুম্বইয়ে রোহিত শর্মার সঙ্গে ব্যক্তিগত সেশনে সময় কাটান নায়ার। অফ ফর্মে থাকা রোহিত শর্মা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের আগে বিকেসি-তে নায়ারের নজরদারিতে ঘাম ঝরান বলে খবর ক্রিকবাজের। অভিষেক নায়ারের সঙ্গে সেই সেশনের পরেই ওয়াংখেড়েতে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ২৬ রানের সংক্ষিপ্ত অথচ প্রভাবশালী ইনিংস খেলেন রোহিত। ঠিক তার পরের ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে পরিচিত ফর্মে দেখা যায় রোহিত শর্মাকে।
উল্লেখ্য, এর আগে সাদা বলের ক্রিকেট সম্পর্কে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলের পিছনে নায়ারের ভূমিকা নিয়ে লোকেশ বলেন, ‘অভিষেক নায়ারকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। নিজের সাদা বলের ক্রিকেট নিয়ে নায়ারের সঙ্গে আমার ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা হতো। ওর সঙ্গে বিস্তর পরিশ্রম করেছি। যখন থেকে ও ভারতীয় দলে এসেছে, নিজের সাদা বলের ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। মুম্বইয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমরা একসঙ্গে খেটেছি।’