প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এবং ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নায়ক যোগিন্দর শর্মা বিশ্বাস করেন যে, চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) কিংবদন্তি এমএস ধোনির এবার ‘বিশ্রাম’ নেওয়ার সময় এসেছে। যারা পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন, ১২বার প্লে-অফে উঠেছে, তারা ২০২৫ মরশুমে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করা তো দূরের কথা, তারা এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবলের লাস্টবয়। নিয়মিত অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ার পর, এমএস ধোনি সিএসকে-কে নেতৃত্ব দেওয়ার পরেও, হাল ফেরেনি দলের।
২০২৫ মরশুমে সিএসকে-র বিদায়ের পর থেকেই, আইপিএলে ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। গত মাসে চিপকে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলায় ধোনির পরিবার উপস্থিত থাকার পর অবসরের গুজব আরও জোরদার হয়। তার মধ্যে ৪৩ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় ব্যাটিং অর্ডারে নীচের দিকে নেমে আসায়, আলোচনার আগুনে যেন ঘি সংযোগ হয়, বিশেষ করে যখন প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং স্বীকার করেন যে, ধোনি ‘পুরো ১০ ওভার ব্যাট করতে পারবেন না।’
‘এখন ওর বিশ্রাম নেওয়ার সময়’
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ধোনির নেতৃত্বে আইকনিক শেষ ওভারটি বল করা যোগিন্দর মনে করেন, অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের এবার তাঁর ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য আইপিএল ক্যারিয়ারে ইতি টানা উচিত। ধোনির অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘মাহির ফিটনেস লেভেল বিবেচনা করে, ওর ফর্ম প্রমাণ করার জন্য ওর আরও উপরে ব্যাট করা উচিত, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, এখন ওর বিশ্রাম নেওয়ার সময়।’
ধোনি নিজের অবসর প্রসঙ্গে বড় দাবি করেছেন
এই মাসের শুরুতে, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী ভূমিকা পালন করার পর, ধোনি তাঁর অবসর নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি স্বীকার করেছেন, যে কোনও সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে আগামী কয়েক মাস তাঁর শরীর কী অবস্থায় থাকে, তার উপর।
কেকেআর-এর বিরুদ্ধে ম্যাচের পর ধোনি বলেছিলেন, ‘এই আইপিএল শেষ হওয়ার পর, আমার শরীর এই চাপ নিতে পারে কিনা, তা দেখার জন্য আমাকে আরও ৬-৮ মাস কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই, তবে আমি যে ভালোবাসা এবং স্নেহ দেখেছি তা দুর্দান্ত।’ এখন দেখার, আইপিএলের ২০২৬ মরশুমেও ধোনি খেলেন কিনা, নাকি অবসরের সিদ্ধান্ত নেন!