এই বছর চেন্নাই সুপার কিংসের বেহাল দশা। রুতুরাজ গায়কোয়াড় চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পর মহেন্দ্র সিং ধোনি দলের দায়িত্ব নিলেও, কোনও উন্নতি হয়নি। তারাই প্রথম টিম, যারা আইপিএলের প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিল। এখনও সিএসকে পয়েন্ট টেবলের লাস্টবয়। যাইহোক দলের এই দুর্দশার মধ্যে, একই প্রশ্ন বারবার ঘোরাফেরা করছে।
ধোনিকে যত না তাঁর দলের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে, তার থেকে সকলের অনেক বেশি আগ্রহ তাঁর অবসরের সিদ্ধান্ত জানার বিষয়ে। গত কয়েক মরশুমে এই প্রশ্নের মুখে বারবার পড়তে হয়েছে ধোনিকে। ৪৩ বছর বয়সী কিংবদন্তিকে আইপিএলের এই মরশুমের প্রতি ম্যাচের আগে এবং পরে, নিজের অবসরের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর ধোনি দেন না ঠিকই, তবে জল্পনার আগুনে নিত্যদিন ঘি সংযোগ হতে থাকে।
আরও পড়ুন: IPL খেলার জন্য PSL-কে লাথি দুই তারকার, কপাল পুড়ল বাবর আজমের দলেরও, স্বস্তি পেল PBKS এবং GT
যদি এমএস ধোনির ভক্তরা শেষ দু'টি সিএসকে ম্যাচের পর এই কিংবদন্তিকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে তাঁদের পরিকল্পনায় জলে যেতে পারে। কারণ চেন্নাইয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করেন যে, ২০২৫ সালের পরেই ৪৩ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারে ইতি টানবেন না।
এই মরশুমে সিএসকে খুব খারাপ পারফর্ম করেছে এবং দলে প্লেয়ার ধোনির গুরুত্ব আদৌ রয়েছে কিনা, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে। কিন্তু ধোনি এখনও পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তাদের এমন কোনও ইঙ্গিত দেননি, যাতে মনে হয়, এটিই তাঁর শেষ মরশুম হতে চলেছে।
ধোনি উল্টে বলেছেন যে, তিনি কয়েক মাস পরে এই সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে যা মনে হচ্ছে, সিএসকে-কে তৈরি না করে ধোনি অবসরের সিদ্ধান্ত হয়তো ঘোষণা করবে না। এই দলে অনেক তরুণ প্লেয়ার রয়েছেন, যাঁদের দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ২০২৩ সালে সিএসকে যেখানে ছিল, সেই জায়গার কাছাকাছি নিয়ে যাওয়াটাই লক্ষ্য চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজির। প্রসঙ্গত, ২০২৩ পঞ্চম বারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চেন্নাইয়ের দল। এমন পরিস্থিতিতে, একজন রক্ষক, টেলএন্ডার ব্যাটসম্যান এবং পথপ্রদর্শক হিসেবে এমএসডির উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে দল মনে করে দলের কর্তারা।
শারীরিক ভাবে ধোনি খুব খারাপ জায়গায় রয়েছেন, এমনটা বলা যায় না। ধোনির অবসরের ক্ষেত্রে এটিও বিবেচনা করার মতো বিষয়। তবে ধোনির অধিনায়কত্ব অব্যাহত রাখার সম্ভাবনা কম এবং কনুইয়ের চোট থেকে ফিরে আসার পর রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাতে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও গায়কোয়াড়ের নেতৃত্বে সিএসকে দেড় বছর ধরে খুব একটা ভালো করতে পারেনি, তবুও তাঁকে দুম করে এখনই নেতৃত্ব থেকে সম্ভবত সরানো হবে না।