আইপিএলের ২০২৫ মরশুমটা এখনও পর্যন্ত রাজস্থান রয়্যালসের জন্য মোটেও ভালো যাচ্ছে না। রবিবার (১৩ এপ্রিল) তারা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে নয় উইকেটে পরাজিত হয়। রাজস্থান তাদের নিজস্ব মাঠ, জয়পুরের সোওয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে এই পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। পিঙ্ক সিটিতে ফিরলেও জয় এল না। আরসিবি-র কাছে তারা ৯ উইকেটে বাজে ভাবে হেরে যায়। এই মরশুমে এটি রাজস্থানের চতুর্থ পরাজয়। এই পরাজয়ের পর রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন খুবই হতাশ হয়ে পড়েন। আরসিবি-র কাছে হারের পর, সঞ্জু তাঁর দলের ত্রুটিগুলি তুলে ধরেন। পাশাপাশি এও বলেন যে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে জেনেও তিনি প্রস্তুত হয়ে আসেননি।
এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান চার উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে। আরসিবি ১৭.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। অর্জন করে। বিরাট কোহলি ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ফিল সল্ট ৩৩ বলে পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কার সাহায্যে ৬৫ রান করেন এবং ম্যাচের সেরা হন। রাজস্থানের হয়ে যশস্বী জয়সওয়াল ৪৭ বলে ৭৫ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পুরানের ছয়ে রক্তাক্ত দর্শক, যেতে হল হাসপাতালে, LSG-র জয়ের পর মাতলেন সেলিব্রেশনে
আরসিবির প্রশংসা, সঙ্গে নিজের ভুল স্বীকার করলেন সঞ্জু
ম্যাচের পর সঞ্জু বলেন, জয়পুরের পিচে ১৭০-এর বেশি রানের স্কোর ভালো ছিল, কিন্তু কোহলি এবং সল্ট যেভাবে ব্যাট করেছেন, তা অসাধারণ। সঞ্জুর দাবি, ‘মন্থর উইকেটে টস হেরে ব্যাট করার পর ১৭০+ স্কোর ভালো ছিল। এখানে পাওয়ারপ্লে-তে ব্যাট করা কঠিন ছিল। আমরা জানতাম, সল্ট এবং কোহলি শুরু থেকেই আমাদের আক্রমণ করবে। ওরা পাওয়ার প্লে-তেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিল।’
সঞ্জু জানতেন যে, কোহলি এবং সল্ট দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করবেন, কিন্তু তিনি এই দু'জনের বিরুদ্ধে কোনও বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করেননি। এবং এই দুই তারকাকে আউট করতে না পারলে, দলের কী করা দরকার, সেই সম্পর্কে কোনও ব্যাকআপও প্ল্যানও ছিল না রাজস্থানের কাছে। প্রথম উইকেটে ফিল সল্ট-বিরাট কোহলি জুটি ৯২ রান করে ফেলে।
এই ম্যাচে রাজস্থানও ক্যাচ ফেলেছে। কোহলি এবং সল্ট দু'জনেরই। যেটার খেসারত রাজস্থানকে ম্যাচ হেরে দিতে হয়েছে। এর উত্তরে সঞ্জু বলেন, ‘ওরা (আরসিবি) আমাদের ক্যাচও ফেলেছিল এবং আমরাও। এটা ঘটে। কিন্তু ওরা ভালো ব্যাট করেছে। জয়ের কৃতিত্ব অবশ্যই আরসিবির। ওদের উদ্দেশ্য ছিল দৃঢ়। বলতেই হবে, টস সাহায্য করেছে। আমি এই ম্যাচটি ১৯তম এবং ২০তম ওভারে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। তবে আমাদের এই ম্যাচটি ভুলে, নতুন করে প্রত্যাবর্তন করতে হবে এবং পরবর্তী খেলার জন্য আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে হবে।’
অ্যাওয়ে ম্যাচে আরসিবি-র দাপট
এই ম্যাচে আরসিবি পুরোপুরি তাদের আধিপত্য দেখিয়েছে। এই মরশুমে এটি অ্যাওয়ে ম্যাচে তাদের চতুর্থ জয়। এই মরশুমের প্রথম ম্যাচেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়েছিল আরসিবি। এরপর তারা চেন্নাইতে গিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে পরাজিত করে। ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারায়। তার পর জয়পুরে রাজস্থানকে হারান কোহলিরা। কিন্তু নিজেদের হোম ম্যাচে তারা সাফল্য পাইনি। চিন্নাস্বামীতে ২টি ম্যাচ খেলেছিল, তারা দু'টিতেই হেরেছে।