শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এক নতুন দাবি করলেন। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট বলেন, মোবাইল তিনি ছোঁড়েননি। পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: গ্রেফতারির পর মুখ খুললেন জীবনকৃষ্ণ, অভিষেকের নিশানায় কারা? BJP বলছে…
শনিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে তোলার আগে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ম মেনে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় বিধায়কের। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময়ও একই সুরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, মোবাইল নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে, তার নেপথ্যে আসলে ভুল ব্যাখ্যা। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গত সোমবারই গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেদিন ভোরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। পরে তাঁকে কলকাতায় এনে প্রথমে চিকিৎসা পরীক্ষা করানো হয়, তারপর আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সেই সময় থেকেই একাধিকবার জেরার মুখে পড়েছেন তিনি।
ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থেকে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ নিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। পরে তদন্তের জালে ধরা পড়ার ভয়ে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে কিছু টাকা ফেরত দিতে শুরু করেন তিনি। প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা নাকি স্ত্রী ও বাবার নামে অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছিলেন বিধায়ক। এর মধ্যে কয়েক লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রমাণও পেয়েছে ইডি। তবে বিধায়ক এই অভিযোগ মানতে নারাজ। ইডির জেরায় তিনি বলেন, কোনও চাকরিপ্রার্থী বা এজেন্টের কাছ থেকেই তিনি টাকা নেননি। বরং একটি জমি কেনার জন্য আলাদা ভাবে কিছু টাকা লেনদেন করেছিলেন, যেটাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এছাড়াও মোবাইল ফোন নিয়ে ওঠা বিতর্ক নিয়েও তিনি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। ইডির হেফাজতে থাকাকালীন মোবাইল লুকোনো বা ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সামনে জোর দিয়ে বলেন, তিনি কিছুই ছোঁড়েননি। পড়ে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারির নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কাজ করছে। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থাকো ব্যবহার করে বিরোধী শিবিরকে টার্গেট করা হচ্ছে।