দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো। পুজোর দিনগুলোতে শহরের অলিগলি থেকে বড় রাস্তায় একের পর এক খাবারের স্টল বসে যায়। মণ্ডপে যাওয়া-আসার পথে কিংবা পাড়ার আড্ডায় সেই সব স্টল থেকেই বিরিয়ানি, মাংসের পদ থেকে জিলিপি সবই জমজমাট বিক্রি হয়। তবে প্রতি বছরই এই খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ ওঠে। কোথাও নিম্নমানের তেল ব্যবহার, কোথাও আবার অতিরিক্ত কেমিক্যাল রং। সেই আশঙ্কায় এ বারও কড়া নজরদারিতে নামছে কলকাতা পুরসভার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগ।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে চকচকে ত্বক পেতে ব্যবহার করুন গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক!
পুরসভা সূত্রে খবর, শারদোৎসব শুরুর ঠিক তিন দিন আগে থেকেই শুরু হবে অভিযান। চলবে কালীপুজো পর্যন্ত। মণ্ডপের আশপাশে, ফুটপাথে বা আবাসনের সামনে বসা অস্থায়ী দোকানগুলিই থাকছে মূল টার্গেটে। পুরসভার আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ দোকানদার গুণগত মান বজায় রাখলেও, কয়েকজন নিয়মভঙ্গ করেন। বিশেষত, পুজোর ভিড় সামলাতে বাইরের জেলা থেকে এসে অনেকেই অস্থায়ীভাবে দোকান খোলেন। সেখানেই সমস্যা বেশি। গত আর্থিক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, খাদ্যের মান নিয়ে নিয়মভঙ্গের অভিযোগে মোট ৫৭ জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুরসভা। জরিমানা বাবদ আদায় হয়েছিল প্রায় ১৩ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল গত বছরের দুর্গাপুজোর সময়।
পুরসভার আধিকারিকদের বক্তব্য, উৎসবের সময়ে ক্ষতিকারক রং মেশানো খাবার সবচেয়ে বড় বিপদ। লোক টানতে অনেক সময়েই জিলিপি, অমৃতি বা মাংসের পদে এই ধরনের রং ব্যবহার হয়। তাই অতিরিক্ত রঙিন খাবার এড়িয়ে চলাই নিরাপদ। পাশাপাশি খোলা জায়গার বিরিয়ানি বা মাংস কেনার ক্ষেত্রেও সাবধান হতে বলছেন আধিকারিকরা। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এ প্রসঙ্গে জানান, পুরো বছর ধরেই খাদ্যের মান যাচাইয়ের অভিযান চলে। তবে পুজোর সময়ে আলাদা করে নজরদারি বাড়ানো হয়। পুজোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। শহরের অন্যতম বড় উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই ভিড় সামলাতে অস্থায়ী দোকান বাড়ে। সেই ভিড়েই যাতে ভেজাল বা নিম্নমানের খাবার মানুষজনের পাতে না ওঠে, তার জন্যই কড়া পদক্ষেপে নামতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।