বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মালগাড়ি। আর সেই একই লাইনে চলে এসেছিল একটি ট্রেন। তাতে ঘটে যেতে পারতো বড়সড় দুর্ঘটনা। তবে চালকের তৎপরতায় অল্পের জন্য সেই দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ট্রেনটি। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা ও হুগলির মধ্যবর্তী গুরাপ ও জৌগ্রাম স্টেশনের মাঝে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। জানা যায়, সিগন্যাল গ্রিন থাকায় শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসটি একই লাইনে চলে আসে। তাতেই এই বিপত্তি ঘটে। যদিও রেলের বক্তব্য, এটি অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। তবে ঘটনার জেরে প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। এর ফলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: আবারও রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী বাংলা, লাইনচ্যুত ট্রেন, ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক পোস্ট
জানা যায়, গুরাপ ও জৌগ্রাম স্টেশনের মাঝে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় দাঁড়িয়ে যায় মালগাড়িটি। ওই একই লাইনে হাওড়া থেকে আসছিল শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। সিগন্যাল গ্রিন থাকায় ওই লাইনে ঢুকে যায় শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসটি। তখন এক্সপ্রেসের চালক ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়া মালগাড়িটি দেখতে পেয়ে দক্ষতার সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন। যার ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিগন্যাল গ্রিন থাকার কারণেই একই লাইনে ঢুকে যায় শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। প্রশ্ন উঠছে যখন ওই লাইনে একটি মালগাড়ি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে সেক্ষেত্রে কীভাবে লাইনের সিগন্যাল গ্রিন ছিল? যাত্রীদের মতে, চালক তৎপরতার সঙ্গে ট্রেনটি না থামালে আজ বহু মানুষের প্রাণহানি হতে পারত। তবে এর ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ট্রেনের যাত্রীদের।