২২ এপ্রিলের পহেলগাঁওতে ধর্ম জিজ্ঞেস করে পর্যটকদের মারা হয়েছিল। সেই হামলা চালানো সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক সহায়তা প্রদানকারী একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। পহেলগাঁও মামলায় এটা পুলিশে একটি বড় সাফল্য। জানা যায়, গত জুলাই মাসে অপারেশন মহাদেবের সময় উদ্ধার করা অস্ত্র ও সরঞ্জামের ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর সেই স্থানীয় যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম মহম্মদ কাটারি। ধৃতক আদালতে পেশ করা হবে এবং বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো জঙ্গিদের খতম গত জুলাইয়ের শেষে খতম করে দেয় ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁওতে হামলা চালানো জঙ্গি দলের অন্যতম সদস্য ছিল সুলেমান শাহ। অপারেশন মহাদেবে তাকে খতম করা হয়েছে। সুলেমান শাহ আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এলিট ইউনিটের কমান্ডো ছিল। পরে সে হাফিজ সইদের দল লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয়। জানা যায়, জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার সময় জঙ্গিরা টি৮২ আল্ট্রাস্যাট কমিউনিকেশন ডিভাইস সক্রিয় করেছিল। এটি এক ধরণের স্যাটেলাইট ফোন। পহেলগাঁও হামলার সময় সন্ত্রাসবাদীরা এই স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করেছিল। এই যন্ত্র দিয়েই জঙ্গিদের সম্পর্কে জানতে পারে সেনা। সেনাবাহিনী তাদের ওপর নজরদারি চালাতে শুরু করে। এই আবহে সেনা অপেক্ষা করেছিল, কখন সন্ত্রাসীরা এমন একটি জায়গায় যাবে, যেখানে তাদের ফাঁদে ফেলা যাবে।
এই আবহে গত ২৮ জুলাই সকাল ৮টা নাগাদ সেনার একটি ড্রোন সন্ত্রাসীদের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপরই রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও প্যারা স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডোরা মহাদেব পাহাড়ে উঠতে শুরু করেন। আধ ঘণ্টার মধ্যেই জঙ্গিদের সঠিক অবস্থান জানতে পারে সেনা। বেলা ১১টার দিকে সেনাবাহিনী গুলি চালাতে শুরু করে। প্রথম সন্ত্রাসী নিহত হয় ৪৫ মিনিটের মধ্যে। এরপরই দুই কিলোমিটার এলাকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে সেনা। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর আরও দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়।