বৃহস্পতিবার রেল-ভিত্তিক মোবাইল লঞ্চার সিস্টেম থেকে মধ্যপাল্লার অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, প্রথমবার এই ধরনের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছে রেল ভিত্তিক লঞ্চার থেকে। বিশেষভাবে ডিজাইন করা রেল-ভিত্তিক এই মোবাইল লঞ্চার তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণও পরিচালনা করে ডিআরডিও। এই অগ্নি প্রাইম মিসাইলটি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।
এই অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রটি ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে নিশানায় নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। আজকের এই সফল ফ্লাইট টেস্টের মাধ্যমে ভারত সেই নির্বাচিত কয়েকটি দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে যারা 'চলমান রেল নেটওয়ার্ক থেকে ক্যানিস্টারাইজড লঞ্চ সিস্টেম' তৈরি করেছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে ওড়িশার উপকূলের আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি প্রাইমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল ডিআরডিও।
এই 'অগ্নি প্রাইম' মিসাইলটি হল নতুন প্রজন্মের অগ্নি শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্রের একটি উন্নত সংস্করণ। এটি একটি দ্বি-পর্যায়ের (ডবল স্টেজ) ক্যানিস্টারাইজড মিসাইল। এর সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১০০০ থেকে ২০০০ কিমি। আগের অগ্নি মিসাইলগুলি থেকে এই নতুন মিসাইলটি অনেকটাই হালকা। অগ্নি ৩ থেকে এই অগ্নি প্রাইম প্রায় ৫০ শতাংশ হালকা। ক্যানিস্টারাইজড মিসাইল হওয়ায় খুব সবজেই অগ্নি প্রাইমকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে সড়ক বা রেলপথে। এর লঞ্চের প্রস্তুতির জন্যেও কম সম ব্যয় করতে হবে। অগ্নি প্রাইম মিসাইলের প্রথম সফল পরীক্ষণ হয়েছিল ২০২১ সালে। এর ৬ মাস পরে ২০২১ সালের ডিসেম্ব এর দ্বিতীয় পরীক্ষা হয়েছিল। এরপর গত ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রথমবার অগ্নি প্রাইমকে রাতে লঞ্চ করেছিল ডিআরডিও। আর ২০২৫ সালেরই মার্চ মাসে ভারত সফল ভাবে অগ্নি ৫ মিসাইল লঞ্চ করে পরীক্ষা চালিয়েছিল।