রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ রাখতে আমেরিকায় যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে কোয়াড শীর্ষ সম্মেলন এবছর হবে কি না, তার ঠিক নেই। উল্লেখ্য, এবারে ভারতে হওয়ার কথা ছিল এই সম্মেলন। হিসেব মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের ভারতে আসার কথা ছিল। তবে ট্রাম্প ভারতে আসছেন না বলেই বেশ কয়েকদিন আগে দাবি করা হয়েছিল রিপোর্টে। বে এই সবের মাঝেও মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেন, শীঘ্রই মোদী-ট্রাম্প সাক্ষাৎ হতে পারে। এদিকে সেই কর্মকর্তা কাশ্মীর ইস্যুতে মার্কিন মধ্যস্থতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের 'অস্থিরতা' সত্ত্বেও ভারত-মার্কিন সম্পর্ক শক্তিশালী রয়েছে। যথাসময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকও হবে। পরবর্তী কোয়াড নেতৃবৃন্দের শীর্ষ সম্মেলনের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করার জন্যও আলোচনা চলছে, হয় এই বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের শুরুতে এই সম্মেলন হতে পারে। তিনি বলেন, 'আমি নিশ্চিত, আপনারা শীঘ্রই দুজনকে (মোদী ও ট্রাম্প) বৈঠক করতে দেখবেন। তাদের মধ্যে খুব, খুব ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা কোয়াড শীর্ষ সম্মেলন সম্পর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। এই বছর না হলেও পরের বছরও কোনও এক সময় এই সম্মেলন হবে। আমরা এর জন্য তারিখ নির্ধারণের কাজ করছি। সুতরাং মার্কিন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে অনেক কিছু আসছে এবং আমি মনে করি আমরা কিছু ধারাবাহিক ইতিবাচক গতি দেখতে পাব।' এর আগে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছিল যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনার কারণে ট্রাম্প কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
এদিকে মার্কিন ওই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, রাশিয়ার জ্বালানি কেনার বিষয়ে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগিয়ে চলেছে। এমনকী আগামী সপ্তাহগুলির মধ্যেই এই ইস্যুতে একটি সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসতে পারে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এদিকে তিনি আরও বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না ট্রাম্প প্রশাসন। তিনি বলেন, 'এটা আমাদের দীর্ঘদিনের নীতি যে কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ইস্যু।' এদিকে মার্কিন বিদেশ দফতরের সেই কর্মকর্তা জানান, চলতি সপ্তাহের শুরুতে নিউইয়র্কে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিওর বৈঠকে ভারতের রাশিয়ান তেল কেনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিকে বাণিজ্য আলোচনার জন্য আমেরিকাতে পা রেখেছেন ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও। এই আবহে ক্রমেই ভারত-মার্কিন সম্পর্ক ফের স্বাভাবিক করার চেষ্ট চলছে।