ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কে যে ফাটল ছিল, তা ধীরে ধীরে মিটতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, কানাডার বিদেশমন্ত্রী অনিতা আনন্দ ভারত সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুই দেশের মধ্যকার 'উত্তেজনার' পর এটাই কোনও বিদেশমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর হতে চলেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে। আর এবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দ অক্টোবরে ভারত সফরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে তাঁর সফরের তারিখ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নির বৈঠকের পর গত অগস্ট মাসে অটোয়া ও দিল্লিকে একে অপরের দেশে হাইকমিশনার নিয়োগ করে। একদিকে কানাডা থেকে দিল্লিতে নিয়োগ করা হয়েছে ক্রিস্টোফার কুপার। একইসঙ্গে দীনেশ পট্টনায়েককে কানাডায় পাঠিয়েছে ভারত। অনিতা আনন্দ সে সময় বলেছিলেন, 'নতুন হাইকমিশনারের নিয়োগের ফলে ভারতের সাথে কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।'
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার কানাডিয়ান সরকারের প্রধান মার্ক কার্নি ১৭ জুন কানাডার কানাসানস্কিসে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে দুজনেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন। কানাডার জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা উপদেষ্টা নাটালি ড্রুইন এবং বিদেশ প্রতিমন্ত্রী সচিব ডেভিড মরিসন সেপ্টেম্বরে ভারত সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আনন্দ বলেন, কানাডা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করছে ভারতের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে 'ভারতীয় এজেন্টের' জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যার পরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সর্বকালের সর্বনিম্নে পর্যায়ে পৌঁছেছিল। গত বছরের অক্টোবরে অটোয়ায় নিজ্জর মামলার জেরে কানাডায় অবস্থিত হাইকমিশ থেকে হাইমিশনার এবং আরও পাঁচ কূটনীতিককে ভারত ফিরিয়ে এনেছিল। ভারতও কানাডিয়ান কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছিল। তবে মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ফের বরফ গলতে শুরু করেছে দুই দেশের সম্পর্কে।