এবার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের কাছে। এশিয়া কাপের সুপার ফোর ম্যাচে পাকিস্তানি ক্রিকেটার হারিস রউফ এবং সাহিবজাদা ফারহানের উস্কানিমূলক অঙ্গভঙ্গির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযোগ দায়ের করেছে বিসিসিআই। এই দুজনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত। বিসিসিআই তাদের দাবির সমর্থনে ভিডিয়ো প্রমাণও জমা দিয়েছে অ্যান্ডির কাছে।
উল্লেখ্য, সুপার ফোরের ম্যাচে সাহিবজাদা ফারহান তাঁর পঞ্চাশ করার পরে বন্দুকের মতো করে ব্যাট ধরে উদযাপন করেছিলেন। এই বছরের শুরুতে কাশ্মীরের পহেলগাঁয়ে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সাহিজবাদার এই সেলিব্রেশনে বিতর্ক হয়। এবং তাঁর এই অঙ্গভঙ্গি স্পষ্টতই অসংবেদনশীল ছিল। এদিকে হারিস রউফ ভারতীয় দর্শকদের দিকে আঙুল তুলে '৬-০' ইশারা করেছিলেন এবং বিমান ধ্বংস হওয়ারও ইঙ্গিত করেছিলেন হাতে। উল্লেখ্য , পাকিস্তান দাবি করেছিল যে তারা অপারেশন সিঁদুরের সময় তারা ৬টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল। তবে এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। তবে সেই ভুয়ো দাবি নিয়েই গর্বিত পাকিস্তান। আর করিকেটে না পেরে উঠে সেই ভুয়ো দাবি নিয়েই ভারতীয় সমর্থকদের কটাক্ষ করার চেষ্টা করেছিলেন হারিস।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানকে এককথায় উড়িয়ে দিয়ে সুপার ৪-এর যাত্রা শুরু করে ভারত। সেই জয়তে উল্লেখযোগ্য অবদান ওপেনার শুভমন গিলের। এরই সঙ্গে ম্যাচ জেতানো পারফর্ম্যান্স দিয়েছেন অপর ওপেনার অভিষেক শর্মা। পঞ্জাবের এই দুই তরুণ তুর্কি মাঠে পাকিস্তানিদের ব্যাট এবং মুখ দিয়ে কড়া কড়া জবাব দেন। ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়াতে পাকিস্তানের নাম না করে ট্রোল করেন দু'জনেই। ম্যাচের মুহূর্তের ছবি দিয়ে সংক্ষিপ্ত বার্তায় দুই তারকাই পাকিস্তানকে খোঁচা মারলেন। শুভমন গিল নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'খেলাই কথা বলে, শব্দ নয়'। এদিকে অভিষেক শর্মা আবার নিজের পোস্টে লেখেন, 'তোমরা বরং কথা বলো, আমরা ম্যাচ জিতি।' এদিকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, 'আজ ব্যাপারটা খুব সহজ ছিল। কোনও কারণ ছাড়াই যেভাবে আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল, সেটা আমার একদমই পছন্দ হয়নি। একমাত্র এভাবেই (ব্যাটিং) আমি ওদের ওষুধ দিতে পারতাম।'
আর এই গোটা বিতর্ক নিয়ে ভাতরের সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকটে বলেছিলেন, 'আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, পরিস্থিতির কারণে খেলোয়াড়দের ওপর যে পরিমাণ চাপ তৈরি করা হয়েছিল। এতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন। আমি হারিসের বেশ কিছু কাণ্ড দেখেছি। তবে এগুলো আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়। ছেলেরা যেভাবে নিজেদের কাজ করে গিয়েছে, তাতে আমরা সত্যিই গর্বিত। মাঠে তাদের ব্যাটে আগুন জ্বলছিল।' পরে পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদির এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাদের কাজ ক্রিকেট খেলা। মানুষ যা চায় তাই ভাবতে পারে। আমরা এখানে এসেছি এশিয়া কাপ জিততে। আমরা পাকিস্তানের আশা পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।'