ডানহাতি ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসনকে এই এশিয়া কাপে নতুন ভূমিকা দেখা গিয়েছে। গত কয়েক সিরিজে তিনি ওপেনিং করে বেশ সফল হয়েছিলেন। তবে এশিয়া কাপের দলে শুভমন গিল থাকায় ব্যাটিং অর্ডার বদলায় সঞ্জুর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ নম্বরে ব্যাট কতে নেমেছিলেন ভারতের উইকেটরক্ষক। তবে সেই ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতীয় সমর্থকদের মনে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচজয়ী অর্ধশতরান করলেও সঞ্জুকে সেভাবে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি সেই ম্যাচেও।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ৪ পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সঞ্জু ১৭ বলে ১৩ রান করেছিলেন। হারিস রউফের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন তিনি। এই আবহে টিম ইন্ডিয়ার সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকটকে গতকাল প্রাকম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়েছিল সঞ্জুকে নিয়ে। আর সেই প্রশ্নের জবাবে রায়ান স্বীকার করেছেন যে সঞ্জু এখনও তাঁর নতুন ভূমিকায় পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেননি। তবে তিনি এর সঙ্গে এও উল্লেখ করেছিলেন যে ম্যানেজমেন্ট তাঁর দক্ষতার উপর পুরোপুরি বিশ্বাস করে।
এদিকে রায়ান নিশ্চিত করেছেন যে জিতেশ শর্মা এবং রিঙ্কু সিং স্কোয়াডে থাকা সত্ত্বেও ম্যানেজমেন্ট আপাতত স্যামসনের সাথে থাকবে। তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, আমি মনে করি সঞ্জুর কাছে দু'টি ভালো সুযোগ ছিল। এবং আমি মনে করি তিনি এখনও কীভাবে এই ভূমিকাটি পালন করবেন তা নির্ধারণ করছেন। আমি মনে করি পাকিস্তানের খেলায় উইকেটও কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তবে অবশ্যই শুভমান এবং অভিষেক যেভাবে খেলেছেন, এবং অধিনায়ক ৩ নম্বরে যেভাবে ব্যাটিং করছেন... তিলকও যেভাবে খেলেছেন, আমরা ৫ নম্বরেও সেই ব্যাটিংয়ের সন্ধান করছি। আমরা বিশ্বাস করি সঞ্জু এই কাজের জন্য সেরা মানুষ। আমার কোনও সন্দেহ নেই যে ভবিষ্যতে তিনি খুঁজে বের করবেন যে কীভাবে এই ভূমিকা পালন করা যায়।'
উল্লেখ্য গত দুই বছরে ওপেনার হিসাবে সঞ্জুর গড় প্রায় ৪০; তবে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করার সময় তাঁর পরিসংখ্যান তেমন ভালো নয়। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে গিয়ে সঞ্জু মাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি করতে পেরেছেন। এমনকি আইপিএলেও টপ অর্ডার ছাড়তে দ্বিধা বোধ করছেন সঞ্জু। তবে জিতেশ ও রিঙ্কুর এই এশিয়া কাপে খেলার সম্ভাবনা নেই, তা ভারতীয় সহকারী কোচ নিশ্চিত করেছেন।
রায়ান বলেন, 'আমরা আবুধাবিতে চেষ্টা করেছি বেঞ্চে থাকা ছেলেদের মাঝখানে কিছুটা সময় দেওয়ার জন্য। তবে আমরা এশিয়া কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে ভালো করার দিকে নজর আমাদের। এই আবহে রিঙ্কু বা জিতেশের মতো কাউকে খেলানোর কথা ভাবার সম্ভাবনা আপাতত কম। তবে তারা প্রশিক্ষণে ভালো করছেন। পরবর্তী দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তাদের এক্সপোজার দেওয়ার সুযোগ থাকবে। সুপার ফোর ফর্ম্যাটে দুটি জয় পেয়ে গেলেও ফাইনালের টিকিট পুরোপুরি পাকা নাও হতে পারে। তাই আমরা অ্যাক্সেলেরটর প্যাডেল থেকে পা সরাতে পারি না।'