নবগ্রহ এবং নবরাত্রির মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং জ্যোতিষশাস্ত্র ও আধ্যাত্মিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। নবরাত্রি হলো নয়টি রাতের উৎসব, যেখানে প্রতিদিন দেবী দুর্গার নয়টি ভিন্ন রূপের পূজা করা হয়। এই নয়টি রূপের প্রতিটিই কোনো না কোনো গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। দেবীর এই নয়টি রূপকে পূজা করার মাধ্যমে সেই সেই গ্রহের অশুভ প্রভাব দূর করা যায় এবং শুভ ফল লাভ করা যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
নবরাত্রি ও নবগ্রহের সম্পর্ক
দেবী শৈলপুত্রী (১ম দিন) ও চন্দ্র: নবরাত্রির প্রথম দিনে দেবী শৈলপুত্রীর পূজা করা হয়। তিনি চন্দ্রের অধিপতি দেবী। তাঁর পূজা করলে চন্দ্রের অশুভ প্রভাব দূর হয় এবং মন শান্ত থাকে।
দেবী ব্রহ্মচারিণী (২য় দিন) ও মঙ্গল: দ্বিতীয় দিনে দেবী ব্রহ্মচারিণীর পূজা করা হয়। তিনি মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাঁর আরাধনা করলে সাহস, শক্তি এবং মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়।
দেবী চন্দ্রঘণ্টা (৩য় দিন) ও শুক্র: তৃতীয় দিনে দেবী চন্দ্রঘণ্টার পূজা হয়, যিনি শুক্র গ্রহকে নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর পূজা করলে প্রেম, সৌন্দর্য এবং জীবনের ঐশ্বর্য বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন - দুই গ্রহের রাজযোগে লাকি ৪ রাশি! পুজোর মধ্যেই ফুলেফেঁপে উঠবে ব্যাংক ব্যালেন্স
আরও পড়ুন - পঞ্চমীতে খেলা দেখাবেন সূর্য! ৪ রাশির কপাল সোনার মতো চমকাবে, প্রেমেও সুখবর
দেবী কুষ্মান্ডা (৪র্থ দিন) ও সূর্য: চতুর্থ দিনে দেবী কুষ্মান্ডার পূজা করা হয়, যিনি সূর্যকে নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর আরাধনা করলে স্বাস্থ্য, খ্যাতি এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
দেবী স্কন্দমাতা (৫ম দিন) ও বুধ: পঞ্চম দিনে দেবী স্কন্দমাতার পূজা হয়, যিনি বুধ গ্রহের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কৃপায় বুদ্ধি, জ্ঞান এবং যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
দেবী কাত্যায়নী (৬ষ্ঠ দিন) ও বৃহস্পতি: ষষ্ঠ দিনে দেবী কাত্যায়নীকে পূজা করা হয়, যিনি বৃহস্পতি গ্রহের অধিপতি। তাঁর পূজা করলে সৌভাগ্য, ধর্ম এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ হয়।
দেবী কালরাত্রি (৭ম দিন) ও শনি: সপ্তম দিনে দেবী কালরাত্রির পূজা হয়, যিনি শনি গ্রহকে নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর আরাধনা করলে শনির অশুভ প্রভাব দূর হয় এবং ভয় ও বিপদ থেকে মুক্তি মেলে।
দেবী মহাগৌরী (৮ম দিন) ও রাহু: অষ্টম দিনে দেবী মহাগৌরীর পূজা করা হয়, যিনি রাহু গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাঁর কৃপায় জীবনের জটিলতা ও অপ্রত্যাশিত বাধা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
দেবী সিদ্ধিদাত্রী (৯ম দিন) ও কেতু: নবম দিনে দেবী সিদ্ধিদাত্রীর পূজা করা হয়, যিনি কেতু গ্রহের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর পূজা করলে আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ হয় এবং জীবনের চূড়ান্ত সিদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।