
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অন্যতম চাকরির দালাল চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে একাধিকবার গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলি সদস্য অনুপ ঘোষ। তাঁর দাবি, বাগদা থেকে বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়।
এদিন অনুপবাবু বলেন, ‘সরকার কি জানে না এই চাকরি কী করে হচ্ছে? তাহলে আগা থেকে মাথা পর্যন্ত সব ধরুক। চন্দনকে একা দোষ দিলে হবে না। এ কার মাস্টারপ্ল্যান? যারা সরকার চালাচ্ছে, শিক্ষা দফতরে কারা আছে? চন্দন কে? চন্দন তো আমার মামাভাগ্নের ছেলে। তাহলে কলকাতায় শিক্ষা পরিচালনা কারা করছে? শিক্ষা দফতর কারা চালাচ্ছে? সেটা আগে দেখুক’।
তাঁর দাবি, ‘সব টাকা দিয়ে চাকরি। সাদা খাতা জমা দিয়ে সব টাকা দিয়ে চাকরি। এটা অরাজকতা। করেছে এই সব দালালরা, পুষেছে সরকার। মামাভাগ্নে গ্রাম থেকে ১০০-র বেশি টাকা দিয়ে চাকরি হয়েছে। মামাভাগ্নের আসেপাশে ধরলে প্রায় শ’ দেড়-দুই। চন্দন মণ্ডলই এখানে চাকরি দেয়’।
চন্দনের বাড়িতে কি চাকরি কিনতে লাইন পড়ত? প্রশ্ন শুনে অনুপবাবুর পালটা প্রশ্ন, ‘লাইন? থানার বড়বাবুরা জানে। ওই বিডিওরা জানে’।
এর পরই বোমা ফাটান তিনি। বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জির ভাই কার্তিক ব্যানার্জি আসত ওনার বাড়ি। যারা এই এলাকায় বড় বড় চাকরি করে আর প্রভাবশালী লোক, সবাই ওখানে গিয়েছে। প্রভাবশালী লোক সবাই চন্দনের বাড়ি গিয়েছে। চন্দনের ফোঁটা সবাই নিয়েছে’।
এর পর সরাসরি নাম করেই বলেন তিনি। বলেন, ‘ষোলো কোটি তো বাচ্চা। বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে এখান থেকে। কার্তিক ব্যানার্জি কলকাতা থেকে এখানে চন্দনের বাড়িতে আসত। কালীপুজোর ফিতে কাটতে’।
অনুপবাবুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা রাজনৈতিক কর্মী। দলের কর্মীরা ভালোবেসে কোথাও ডাকলে যাওয়ার চেষ্টা করি। তেমনই বাগদাতেও গেছি। চন্দন মণ্ডলকে আলাদা করে চিনি না’।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports