কোহলির কথাতেই জ্বলে উঠেছিলেন। ম্যাচ জয়ের পরে কণিকা জানালেন বিরাট কোহলির সঙ্গে আলোচনার পরেই নাকি এমন ইনিংস খেলতে পেরেছিলেন তিনি। আসলে কিং কোহলির কথা গুলোই যেন তাঁকে বাড়তি অনুপ্রাণিত করেছিল। কোহলির শব্দ গুলো কীভাবে তাঁকে উদ্দীপনায় ভরিয়ে দিয়েছিল সেটি জানিয়েছেন কনিকা আহুজা।
কনিকা আহুজা ও বিরাট কোহলি (ছবি-পিটিআই ও টুইটার)
টানা পাঁচ ম্যাচে পরাজয়ের পর মহিলা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম জয়ের স্বাদ পেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ইউপি ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে মরশুমে তাদের প্রথম জয় নিবন্ধন করেছে স্মৃতি মান্ধনারা। আর এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন যিনি, তাঁর নাম হল কনিকা আহুজা। ৪৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন কনিকা। তাঁর এদিনের ব্যাটিং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ম্যাচ জয়ের পরে কণিকা জানালেন বিরাট কোহলির সঙ্গে আলোচনার পরেই নাকি এমন ইনিংস খেলতে পেরেছিলেন তিনি। আসলে কিং কোহলির কথা গুলোই যেন তাঁকে বাড়তি অনুপ্রাণিত করেছিল। কোহলির শব্দ গুলো কীভাবে তাঁকে উদ্দীপনায় ভরিয়ে দিয়েছিল সেটি জানিয়েছেন কনিকা আহুজা।
ইউপি ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১৩৬ রানের স্কোর তাড়া করতে নেমে পাঁচ উইকেটে জিতেছে। বুধবার, ২০ বছর বয়সী খেলোয়াড় কনিকা আহুজা উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের এই মরশুমের একজন আনক্যাপড খেলোয়াড়ের হিসাবে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করেছেন। ৩০ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন কণিকা। ম্যাচের পর ক্যারিয়ারের প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে কণিকা আহুজা বলেন, ‘বিরাট স্যার আমাদের বলেছেন এটা চাপের বিষয় নয়, এটা আনন্দের বিষয়।’ বুধবার ভারতীয় দলের ঐচ্ছিক প্রশিক্ষণে অংশ নেননি কোহলি। মুম্বইতেই WPL-এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি।
কণিকা, যিনি সূর্যকুমার যাদবের মতো 360-ডিগ্রি ব্যাটিং করতে চান, তিনি বলেছেন, ‘বিরাট আমাদের বলেছিলেন যে আমরা যখন মাঠে নামব তখন যেন আমরা নিজেদের উপর কোনও চাপ না নিই। তিনি বলেন, এই যে সুখ সেটা আমরা খেলেই পাই, এমন সুযোগ সকলে পায় না।’ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পুরুষ দলও অনেক উত্থান-পতন দেখেছে। ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে, দলটি তলানিতে ছিল।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে যাতে বিরাট আরসিবি-র মহিলা দলের সঙ্গে কথা বলার সময় বলছেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে আইপিএল খেলছি। এবং দল এখনও ট্রফি জেতেনি। কিন্তু এটা আমাকে প্রতি বছর উত্তেজিত হতে বাধা দেয় না। আমি যা করতে পারি। আমি প্রতিটি ম্যাচ এবং প্রতিটি টুর্নামেন্টে অবদান রাখতে থাকব।’
কোহলি আরও বলেন, ‘যদি আমরা জিততে পারি, তাহলে এটা ভালো ব্যাপার। যদি আমরা না জিততাম, আমি আমার শেষ মুহূর্তে ভাবব না যে আমি যদি আইপিএল জিততাম, আমি আরও খুশি হতাম। এমনটা হয় না। তাই এটা কতটা ভালো বা কতটা খারাপ সেটা না ভেবে সবসময় সুযোগ নিয়ে ভাবা উচিত। এটির সবসময় দুটি অংশ থাকে, এটি আরও খারাপ হতে পারে। এটা সত্য যে আমরা কখনই আইপিএল জিততে পারিনি কিন্তু এটাও সত্য যে আমাদের বিশ্বের সেরা ফ্যান বেস রয়েছে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।