দেশজুড়ে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। এবার চোখ রাঙাচ্ছে সক্রিয় ওমিক্রনেরই একাধিক সাব ভ্যারিয়েন্ট। ইতিমধ্যে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। আর তারমধ্যেই দেশে সরাসরি করোনার কারণেই মৃত্যু হল এক তরুণের। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অনেকের রাতের ঘুম চলে গিয়েছে। আশঙ্কা, আবার কি শুরু হবে লকডাউন? (আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের থেকে ভারতে বেশি…’, মুসলিম দেশে দাঁড়িয়ে পড়শিকে ঝাঁঝরা করলেন ওয়াইসি)
আরও পড়ুন: অমৃতসরে বিস্ফোরণে খতম বব্বর খালসা জঙ্গি, পঞ্জাবে ক্রমেই সক্রিয় হচ্ছে খলিস্তানিরা
জানা গেছে, জয়পুরে করোনা আক্রান্ত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের বয়স ২৬। রাজস্থান সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, কোমর্বিডিটি নয় করোনার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।রাজস্থানে ২০২৫ সালে করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর এটিই প্রথম ঘটনা। এদিকে, রাজস্থানে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৩। তাদের এখনও পর্যন্ত ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মরুরাজ্যে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২ মাসের শিশু থেকে ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধ পর্যন্ত রয়েছে। রবিবার নাগৌর জেলার ২ মাসের এক শিশুকে জোধপুরের এনআইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছিল। অন্যদিকে, আজমীরের ৬৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। (আরও পড়ুন: '…যাতে কেউ প্রমাণ চাইতে না পারে', অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিরোধীদের খোঁচা মোদীর)
আরও পড়ুন-ফের রক্তাক্ত মার্কিন মুলুক! ফিলাডেলফিয়ায় এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত ২, আহত ৮
এদিকে, সোমবার রাজস্থানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আরও আটটি নতুন ঘটনা সামনে এসেছে। এরমধ্যে জোধপুরে চারটি, জয়পুরে তিনটি এবং উদয়পুরে একটি করোনা কেস নথিভুক্ত হয়েছে। শুধু রাজস্থান নয়, মহারাষ্ট্রেও লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনেই সে রাজ্যে ৪৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।করোনা ঘিরে আতঙ্ক বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গেও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও বেশ কয়েকজনের শরীরে মিলেছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা ১১। তাঁরা সকলেই সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সকলে। (আরও পড়ুন: ‘যদি তারা আবার আঘাত হানে…’, পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি শশী থারুরের)
আরও পড়ুন: 'বডি গার্ডদের' বিশ্বাসঘাতকতার জেরেই প্রাণ যায় বাসবরাজুর, দাবি মাওবাদীদের
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এবারের সংক্রমণ থেকে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হচ্ছে না। তবে চিকিত্সকরা এও বলছেন, সতর্ক থাকতেই হবে। ইতিমধ্যেই করোনা থাবা বিস্তার করেছে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের মধ্যেই।জনবহুল এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বয়স্ক ও শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা মানুষজনের জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। প্রশাসনের তরফে বারবার জানানো হয়েছে, নতুন করে করোনার ঢেউ এলে তা মোকাবিলায় সব রকমভাবে প্রস্তুত। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। (আরও পড়ুন: কলকাতায় হবে ভারী বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলায় অতিভারী বর্ষণের কমলা সতর্কতা)
আরও পড়ুন: 'প্রয়োজনে সেনা হস্তক্ষেপ করবে', এবার ভারতকে চোখরাঙানি পড়শি বাংলাদেশের!
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়েছে। সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছেন, সংক্রমণের হার বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে করোনার নতুন উপপ্রজাতি এনবি.১.৮.১। কীভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, কারা সংক্রমিত হচ্ছে, তার ওপর নজর রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা এই উপপ্রজাতিকে ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং বলে চিহ্নিত করেছে। অর্থাৎ, এই উপপ্রজাতির সমস্ত বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে হু-র বিশেষজ্ঞরা।