পঞ্জাবের অমৃতসরের মাজিথা রোড বাইপাস এলাকায় শক্তিশালী বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক সন্দেহভাজন জঙ্গির। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে ওই ব্যক্তির হাত উড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, বিস্ফোরক পদার্থ নিয়ে যাওয়ার সময় অসাবধনতার কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে এখন সন্ত্রাসবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনার তদন্ত করছেন পুলিশের গোয়েন্দারা। (আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের থেকে ভারতে বেশি…’, মুসলিম দেশে দাঁড়িয়ে পড়শিকে ঝাঁঝরা করলেন ওয়াইসি)
আরও পড়ুন: '…যাতে কেউ প্রমাণ চাইতে না পারে', অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিরোধীদের খোঁচা মোদীর
আরও পড়ুন: ‘যদি তারা আবার আঘাত হানে…’, পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি শশী থারুরের
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকট বিস্ফোরণে চমকে উঠেছিলে তারা। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। প্রথমে এই ঘটনায় গ্যাংস্টার বা সন্ত্রাসীদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছিল পুলিশ। তদন্তকারীরা সন্দেহ করেছিল যে লোকটি পুরনো বোমা নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় এই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তবে বিস্ফোরণে হাত উড়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় জানতেই পুলিশের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। (আরও পড়ুন: 'বডি গার্ডদের' বিশ্বাসঘাতকতার জেরেই প্রাণ যায় বাসবরাজুর, দাবি মাওবাদীদের)
আরও পড়ুন: 'প্রয়োজনে সেনা হস্তক্ষেপ করবে', এবার ভারতকে চোখরাঙানি পড়শি বাংলাদেশের!
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে কি সত্যি চিনা বিমান ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে? কী বলছে বাংলাদেশ সেনা?
পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখনও সেই ব্যক্তি জীবিত ছিল। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সরকারের এক মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ওই ব্যক্তি সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী। বব্বর খালসার সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। এদিকে হাসপাতালে সেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। (আরও পড়ুন: ইউনুসের সঙ্গে মতভেদ? 'দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়…', করিডোর নিয়ে সাফ কথা বাংলাদেশ সেনা)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুড়িয়ে দেওয়া হল হিন্দু গ্রাম, সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে ইউনুস বললেন…
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাতের আবহে খলিস্তানিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে পঞ্জাবে। এই আবহে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে গুরুদাসপুর জেলার একটি পুলিশ স্টেশনে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) শুক্রবার পঞ্জাবের ১৫টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে সম্প্রতি। এদিকে সম্প্রতি পঞ্জাবে হিন্দু মন্দিরেও বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। সেই ঘটনার নেপথ্যেও খলিস্তানি যোগ রয়েছে বলে জানা যায়। এদিকে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের আবহে খলিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন পাক মিডিয়াতে সাক্ষাৎকার দিয়ে 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' স্লোগান পর্যন্ত তুলেছিল। পাকিস্তানের সেনা শিখদের উস্কে দিতে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছিল, ভারতীয় সেনা নাকি অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে মিসাইল হামলা চালাচ্ছে।