সারা দেশে ভোটার তালিকা আরও নির্ভুল করার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) 'বিহার মডেল' গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কমিশন বুধবার সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (সিইও) সঙ্গে বৈঠক করে। প্রতিটি রাজ্যকেই তাদের আগের স্পেশাল ইনটেসিভ রিভিশন তালিকার সঙ্গে বর্তমান ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এই আবহে শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশেই হবে এসআইআর। এদিকে টিভি৯-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অক্টোবর থেকেই গোটা দেশে এই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। (আরও পড়ুন: ‘তোমাদের বর্ণবাদ দূর করতে সাহায্য করব’, ইউরোপীয় দেশকে মুখের ওপর বার্তা ভারতের)
আরও পড়ুন: ৯/১১ ভুললে চলবে না, রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে লাদেন খোঁচায় পাকিস্তানকে ধুলেন ভারতীয় দূত
বিহারে চলমান স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) চলাকালীন দেখা গেছে যে ৭.৮৯ কোটি নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি ভোটারের নাম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ২০০৩ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে যুক্ত। প্রায় ৫২% ভোটারের নাম ২০০৩ সালের তালিকায় সরাসরি পাওয়া গিয়েছিল। প্রায় ২৫% ভোটারকে তাদের বাবা-মা বা পরিবারের সদস্যদের নামের মাধ্যমে তালিকার সাথে যুক্ত করা হয়। এই পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে বিহারের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা বিনোদ সিং গুঞ্জিয়াল বলেছিলেন যে পরিবারের তালিকার সাহায্যে ২০০৩ সালের তালিকায় বিপুল সংখ্যক ভোটার যুক্ত হয়েছেন বিহারে। এখন বিহারের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে, তবে কমিশন এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি যে সারা দেশে কখন এসআইআর কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, কমিশন গত ২৪ জুন আদেশ দিয়ে জানিয়েছিল, ২০০৩ সালের পরে বিহারের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সকলকে তাদের জন্ম তারিখ/জন্মস্থান প্রমাণ করে নথি জমা দিতে হবে। ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের পরে জন্মগ্রহণকারী ভোটারদেরও তাদের পিতামাতার নথি সরবরাহ করতে বলা হয়েছিল। এটা নাগরিকত্ব আইন, ১৯৬৫-র বিধানগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।