উপত্যকায় ফের উত্তেজনা। ভারতে ঢুকে সন্ত্রাসবাদী হামলার চেষ্টা করেছিল জইশ-ই-মহম্মদের চার জঙ্গি। শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় সেই সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন। সূত্রের খবর, দুদু বসন্তগড়ের পাহাড়ি এলাকায় সিওজ ধর বনাঞ্চলের সীমান্তে সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ (এসওজি)-এর একটি যৌথ অনুসন্ধান দল অভিযান চালায়। সেখানেই শুরু হয় গুলির লড়াই।
উধমপুরের উঁচু পার্বত্য এলাকায় গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। উধমপুর এবং ডোডা উভয় জায়গা থেকে ড্রোন এবং স্নিফার ডগ-সহ শক্তিশালী বাহিনী পাঠানো হয় এবং শনিবার সকালে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান পুনরায় শুরু হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রাতভর এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর ধারণা এলাকায় এখনও দুই থেকে তিনজন জঙ্গি লুকিয়ে আছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পস এর আগে জানিয়েছিল যে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কিস্তওয়ারের সাধারণ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতির খবর পায়। জম্মু পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এক্স বার্তায় নিশ্চিত করেছেন যে সেনাবাহিনী, এসওজি এবং পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে রয়েছে।
আরও পড়ুন-'আগামিকালই ফিরে আসুন!' H-1B নিয়ে ট্রাম্পের কোপে হোল্ডাররা, কী বলল মাইক্রোসফট?
জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী শুক্রবার রাত থেকেই উধমপুর জেলায় অভিযানে নেমেছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-এ-মহম্মদ (জেইএম)- এর প্রায় চার জন সদস্যকে কোণঠাসা করা হয়েছে। ভারতীয় সেনার হোয়াইট নাইট কর্পসের পক্ষ তরফে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, 'জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে।' অন্যদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলি বিনিময়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অভিযান বর্তমানে চলছে। এদিকে, পুঞ্চ সেক্টর থেকে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তারমধ্যে রয়েছে চিনা হ্যান্ড গ্রেনেড, কার্তুজ, ম্যাগাজিন। সেনার সন্দেহ, বড় কোনও হামলার ছক করেই এই অস্ত্র মজুত করে রাখা হয়েছিল। তবে কারা বা কতজন এই হামলার পরিকল্পনায় রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে কার্যত জম্মু-কাশ্মীরজুড়ে তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও পড়ুন-'আগামিকালই ফিরে আসুন!' H-1B নিয়ে ট্রাম্পের কোপে হোল্ডাররা, কী বলল মাইক্রোসফট?
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর কুলগামে অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন দু’জন জওয়ান। তবে বিগত কয়েক মাসে বড় রকমের সাফল্যও পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। অগস্ট মাসেই উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায় দুই লস্কর জঙ্গিকে খতম করা হয়। একই সঙ্গে, তল্লাশি অভিযানে প্রচুর অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী।মাত্র কদিন আগে আবার কুলগামে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয় দুই জঙ্গি।