জীবন যে কতটা অনিশ্চিত, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল ১৯ সেপ্টেম্বর জুবিন গর্গের মৃত্যুর ঘটনা থেকে। মাত্র ৫২ বছর বয়সে চিরকালের জন্য না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই সংগীতশিল্পী।
সিঙ্গাপুরে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য গিয়েছিলেন অসমের এই সংগীতশিল্পী। কিন্তু স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। গুরুতর আঘাত পেয়ে সমুদ্রে অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন: বিতাড়িত নন, নিজেই ‘কল্কি’ ছেড়েছেন দীপিকা, নেপথ্যে রয়েছে কোন কারণ?
আরও পড়ুন: রামকমলের ‘বিনোদিনী’ এবার বোস্টনে, উচ্ছ্বসিত পরিচালক দিলেন বড় খবর
জুবিনের এই অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা সঙ্গীত জগত। বলিউড থেকে টলিউড, যার গানের সুরে একসময় মেতে ছিল ৯০ দশকের একটা গোটা প্রজন্ম, তার আচমকা কতখানি ক্ষতি হয়ে গেল, তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। জুবিনের এই অকাল প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় X হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘প্রিয় ভাই জুবিন, ভালো থেকো ও পারাপারে। আমরা সবাই তোমাকে ভীষণ মিস করবো। তোমার অসম্ভব সুন্দর কন্ঠ এবং তোমার অদম্য চালিকাশক্তি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘সঙ্গীত আমাদের সকলকে লড়াই করার শক্তি দেয়, বিশ্বাস জোগায় এবং শান্তি দেয়। আপনার গান সেই গোত্রের, যা লড়াই করতে সাহায্য করে। আপনি চিরকালই আপনার এই শিল্পের মাধ্যমেই সকলের মনে থেকে যাবেন।’
আরও পড়ুন: বেড়াজাল টপকে বাংলাদেশে সম্মানিত হল ‘পদাতিক’, ছবি ভাগ করে নিলেন সৃজিত
আরও পড়ুন: প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গ, স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা
তবে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, জুবিন গর্গের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জুবিনের সাদা কালো ছবির নিচে নতমস্তকে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘জুবিন গর্গের অকাল প্রয়াণে এক গভীর শূন্যতা তৈরি হল। এই প্রতিভা সত্যি বিরল। ওঁর সঙ্গীত সমস্ত বেড়াজাল ভেঙে দিয়েছিল, মানুষকে সুরের সুতোয় গেঁথে রেখেছিল। এ এক অপূরণীয় ক্ষতি।’
গায়কের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে শোক প্রকাশ করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীও। অসমের ভূমিপুত্রের মৃত্যুতে খুব স্বাভাবিকভাবেই গোটা রাজ্য ভেঙে পড়েছে শোকে। জুবিনের মৃত্যুর সাথে সাথে শেষ হয়ে গেল সঙ্গীত জগতের এক স্বর্ণযুগ।