২০ তারিখ ছিল 'রঘু ডাকাত'-এর ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্ট। তার পাশাপাশি এদিন ইন্ডাস্ট্রিতে দেবের ২০ বছরের পথচলার উদযাপনও করা হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে বিনোদন জগতের উজ্জ্বল সব মুখেরা উপস্থিত ছিলেন। ছিল দারুণ বর্ণময় ছিল এদিনের সন্ধ্যা। কিন্তু এত উল্লাস, আনন্দ, উদযাপনের মাঝেও বিষাদের সুর। কারণ আজকের এই সন্ধ্যায় সঙ্গে নেই দেবের অন্যতম কাছের বন্ধু জুবিন গর্গ।
আরও পড়ুন: ‘আরও বড় হও…’, রঘু ডাকাতের ট্রেলার লঞ্চে মমতার বার্তা, দেব বললেন-‘দিদি রাজনীতির উর্ধ্বে'
এক সময় জুবিনের গান 'মন মানে না'র সুরই দেবকে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল। তারপর তাঁর কন্ঠে দেবের বিখ্যাত গান ‘চোখের জলে ভাসিয়ে দিলাম’, 'আয়না মন ভাঙা আয়না' আজও মানুষের মনের মণিকোঠায়। আজ তিনি নেই। তাই তাঁর স্মরণে আবেগে ভাসল পুরো স্টেডিয়াম।
টলিউড অনলাইনের শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে মঞ্চে উপস্থিত রথীজিৎ ভট্টাচার্য, নীলায়ন চট্টোপাধ্যায়-সহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে উঠে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণের জন্য নীরবতা জানিয়ে গায়ককে শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করেন।
আরও পড়ুন: 'কোনও নিরাপত্তাহীনতা নেই…', তন্বীর সঙ্গে ভিডিয়ো পোস্ট করে কেন এমন লিখলেন দেবচন্দ্রিমা?
প্রসঙ্গত, মাত্র ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বলিউডের অন্যতম বিখ্যাত গায়ক জুবিন গর্গ। কাজের সূত্রে সিঙ্গাপুরে ছিলেন জুবিন। সেখানেই স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে আচমকা গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর। তড়িঘড়ি সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয় না। সিঙ্গাপুরের হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গায়ক। তাঁর এই অকাল মৃত্যু অসম-সহ গোটা দেশেই শোকের ছায়া। তাঁর ভক্ত ও সহশিল্পীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নানা পোস্ট শেয়ার করে নিয়েছেন। বাংলার মেগাস্টার দেবের জন্য একাধিক গান গেয়েছিলেন জুবিন। তিনিও গায়ককে নিয়ে পোস্ট করেছেন।
জুবিন গর্গ কেবল একজন আঞ্চলিক গায়ক ছিলেন না। তিনি নানা ভাষায় গান গেয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন সঙ্গীতের শক্তি কী বিশাল। অসমিয়া, বাংলা, হিন্দি শুধু নয়, নেপালি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, মারাঠি, ওড়িয়া, ইংরেজি এবং এমনকি কার্বি, মিসিং এবং তিওয়ার মতো উপজাতি ভাষা সহ মোট ৪০ টিরও বেশি ভাষা এবং উপভাষায় গান গেয়েছিলেন।
তবে কেবল গান নয় নানা বাদ্যযন্ত্রেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। তিনি তবলা থেকে শুরু করে গিটার, ড্রাম, হারমোনিয়াম, দোতারা, ঢোল, ম্যান্ডোলিন এবং হারমোনিয়াম-সহ ১২টি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন। তাঁর বহুমুখী প্রতিভার কারণে তিনি অসমের সবচেয়ে সম্মানিত এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া গায়কদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন।