দাবাং-এর ১৫ বছর পূর্তি হয়েছে সম্প্রতি, এই উপলক্ষ্যে একাধিক সংবাদমাধ্যমে সলমন-সহ গোটা খান পরিবারের নামে বিষোদগার করেছেন দাবাং পরিচালক অভিনব কশ্যপ। দাবাং ছবি মুক্তির পরপরই পরিচালকের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল ভাইয়ের। স্বভাবতই ছবির দ্বিতীয় কিস্তি থেকে বাদ যান পরিচালক।
সম্প্রতি অভিনব অভিযোগ করেছেন সলমনের কারণে তিনি দেনায় জর্জরিত। বর্তমানে ষাট ছুঁইছুঁই সলমন। যে সময় চুলবুল পান্ডের চরিত্রে তাঁর দেখা মিলেছিল, তখন সল্লু মিঁয়ার বয়স ছিল ৪৫-এর আশেপাশে। ওই ছবিতে সলমন খান নিজের চোখের ফোলাভাব আড়াল করতে নাকি ৮ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সলমন খান মোটেও ঝুঁকি নেন না। স্টান্টের জন্য তিনি বডি ডাবল ব্যবহার করেছিলেন। সুতরাং বাস্তব জীবনে মোটেই দাবাং নন ভাইজান।
বলিউড ঠিকানারর সঙ্গে এক এক্সক্লুসিভ কথোপকথনে অভিনবকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে সেটে সলমনের নিজের ব্যক্তিগত জিম আছে কিনা? এর উত্তরে অভিনব বলেন, ‘একেবারেই না। তিনি তার স্থূলত্ব আড়াল করার জন্য শুটিংয়ের আগে কেবল পুশ আপ করতেন এবং নিজেকে পাম্প করতেন। তিনি খুব ফিট লোক নন। তাঁর চোখের নীচে ফোলাভাব আছে, অন্তত দাবাংয়ের সময় তা ছিল। ডিজিটালভাবে তাঁর মুখ পরিষ্কার করার জন্য আমার কাছে ৮ লক্ষ টাকার বিল ছিল। পরে শুনেছি কিছু ছবিতে তার অ্যাবসও নকল। দাবাংয়ের সময় তাঁর মুখ ডিজিটালভাবে সঠিক করা হয়েছিল। তাঁর চোখের ফোলাভাব দূর করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তেমন মোটা ছিলেন না।’
ছবির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে অভিনব বলেন, সলমন খান নাকি স্টান্ট করতে অস্বীকার করেছিলেন। অভিনবের মতে, সলমন ভয় পেয়েছিলেন যে লোকের সামনে স্টান্ট করতে গিয়ে পড়ে গেলে লোকেরা তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করবে। তিনি বলেন, ‘সলমন খুব নিরাপদে খেলেন’। অভিনব বলেন, ‘দাবাং-এ একটি তাড়া করার সিকোয়েন্স ছিল। এটি বর্ষাকাল শ্যুট হয়েছিল, এবং সেখানে কিছুটা কাদা ছিল। তিনি দৃশ্যটি শুট করতে অস্বীকার করেছিলেন কারণ প্রচুর জনতা জড়ো হয়েছিল এবং তিনি ভয় পেয়েছিলেন যে তিনি পিছলে গেলে লোকেরা তাঁকে দেখে হাসবে। সলমন দৌড়াতে পারে না। ওর বডি ডাবলের দরকার পরে। পরবর্তীতে, ওঁনার মুখটি সুপারইমপোজ করা হয়।’