তামিলনাড়ুর কারুরে তামিলগা ভেট্রি কাঝাগামের (টিভিকে) একটি সমাবেশে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পরে, বিজয়কে চেন্নাইয়ে তাঁর বাসভবন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হল। এই হুমকির পরপরই চেন্নাই পুলিশ নীলাঙ্কারাইয়ে অবস্থিত তাঁর বাড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং হুমকির অপরাধীদের সন্ধান করছে। এদিকে এই হুমকির উদ্দেশ্য কী ছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, কারুরে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পরপরই বিজয় চেন্নাই ফিরে এসেছিলেন। এরপর থেকেই পুলিশ তাঁর বাড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করেছিল। কিন্তু বোমা হামলার হুমকির পর সেখানে চেন্নাই পুলিশ ও সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
বোমা বিস্ফোরণের হুমকি পাওয়ার পরে, স্নিফার কুকুর সহ একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল এবং বিজয়ের বাড়ির প্রতিটি কোণে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তল্লাশি অভিযানে কিছুই পাওয়া যায়নি। পুলিশ বিজয়ের সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছে। অন্যদিকে, পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন বিজয়। তার মাঝেও এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন টিভিকে প্রধান। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন তিনি। এদিকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০-এ দাঁড়িয়েছে।
করুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিশন তৈরি করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি অরুণা জগদীশন সেই কমিশনের নেতৃত্বে আছেন। শনিবারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সম্পর্কে তামিলনাড়ু পুলিশ প্রধানের বক্তব্য, বিজয় দেরি করে এসেছিলেন মিছিলে। যে কারণে ভিড় আরও বাড়তে থাকে। তামিলনাড়ুর ডিজিপি ইনচার্জ জি ভেঙ্কটরামনের মতে, অভিনেতা-রাজনীতিবিদ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সভাস্থলে পৌঁছান। যদিও অনুষ্ঠানটি দুপুর ৩টে থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। এই কারণেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পাশাপাশি পুলিশের দাবি, আয়োজক সংস্থা ১০ হাজার মানুষের জমায়েতের আভাস দিয়ে একটি মাঠ চেয়েছিল। কিন্তু তার কয়েকগুণ বেশি লোক সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল।