১৯৭০ এবং ১৯৮০-র দশকে এই স্থানে প্রথম সমীক্ষার কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। গত দুই বছর ফের GSI এই এলাকায় একটি নতুন সমীক্ষা চালায়। ওড়িশার তিনটি জেলায় সোনার মজুদ পাওয়া গিয়েছে।
প্রতীকী ছবি: এপি
বাংলার অতি নিকটেই খোঁজ মিলল তিনটি সোনার ভাণ্ডারের। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (GSI) সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ওড়িশার তিনটি জেলায় সোনার মজুদ পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের ইস্পাত ও খনি মন্ত্রী প্রফুল্ল মল্লিক জানিয়েছেন, দেওগড়, কেওনঝাড় এবং ময়ূরভঞ্জে সোনার ভাণ্ডারের খোঁজ মিলেছে।
কেওনঝাড়ের চারটি স্থান, ময়ূরভঞ্জের চারটি জায়গায় এবং দেওগড়ের একটি জায়গায় সোনার মজুদ পাওয়া গিয়েছে। দিমিরিমুন্ডা, কুশাকলা, গোটিপুর, গোপুর, জোশিপুর, সুরিয়াগুদা, রুয়ানসিলা, ধুশুরা পাহাড় এবং আদাসের মতো অঞ্চলে সোনার হদিশ মিলেছে।
১৯৭০ এবং ১৯৮০-র দশকে এই স্থানে প্রথম সমীক্ষার কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। গত দুই বছর ফের GSI এই এলাকায় একটি নতুন সমীক্ষা চালায়।
বর্তমানে, ভারতে মূলত তিনটি সোনার খনি রয়েছে। কর্ণাটকের হুট্টি, উটি খনি এবং ঝাড়খণ্ডের হিরাবুদ্দিনী খনি। ভারতের সোনার উৎপাদন বছরে প্রায় ১.৬ টন। এটি দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় যত্সামান্য। ভারতে বছরে ৭৭৪ টন সোনা ব্যবহার করা হয়।
সময়ের সঙ্গে সোনার চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। আর সেই কারণেই কেন্দ্র দেশে সোনার উৎপাদন বাড়াতে চাইছে। গত বছর, NITI Aayog দেশজুড়ে সম্ভাব্য সোনার খনি শনাক্ত করার জন্য একটি বড় আকারের সমীক্ষা চালায়। বর্তমানে, ভারতের সোনার মজুদ মোট ৭০.১t । এই স্বর্ণ ভাণ্ডারের একটি বড় অংশ দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত। আরও পড়ুন: বেলঘরিয়া থেকে ফের বিপুল সোনা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ, পাচারে মহারাষ্ট্র যোগ!
খনি থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে সোনা তোলা হয়। কখনও প্লাসার, অর্থাত্ চালনি করে, জল দিয়ে ধুয়ে ধুয়ে মাটি, নুড়ি থেকে সোনা আলাদা করা হয়। আবার কখনও শক্ত পাথরের চাঁইতে সোডিয়াম সায়নাইড ব্যবহার করে সোনা আলাদা করা হয়। শুধু গহনা নয়। ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন দ্রব্যে সোনার ব্যবহার করা হয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক