কাজের খোঁজে রাজস্থান গিয়েছিলেন মালদার দারিয়াপুরের তরুণ সৌভিক শেখ। কিন্তু সেখানেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই কাজের সময় মৃত্যু হল তাঁর। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে সৌভিকের পরিবারে। তবে এই ঘটনাকে নিছকই দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ পরিবারের সদস্যরা
আরও পড়ুন: বিজেপির উপর ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে, পরিযায়ী ইস্যুতে হুঁশিয়ারি উদয়নের
পরিবার সূত্রের খবর, সৌভিক রাজস্থানে একটি বহুজাতিক সংস্থার টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। সোমবার রাতে হঠাৎই কাজের ফাঁকে প্ল্যান্ট এলাকায় হাঁটাহাঁটি করার সময় বিশাল লোহার রড তাঁর মাথার উপর এসে পড়ে। মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সহকর্মীরা ছুটে আসলেও, মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের বাড়ি মালদার বৈষ্ণবনগর থানার অন্তর্গত দারিয়াপুর ভাদুটোলায়। হঠাৎই দুর্ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাবা রবিউল শেখ। তিনি বলেন, অভাবের সংসার, তাই ছেলেকে বাইরে পাঠিয়েছিলেন কিছু রোজগারের আশায়। কে জানত, আর কোনওদিন শি বাড়ি ফিরতে পারবে না!
স্থানীয় শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, সৌভিক পড়াশোনায় ভালো ছিলেন। কিন্তু দারিদ্রের কারণে লেখাপড়া ছেড়ে সংসারের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভিনরাজ্যে গিয়েই অকালমৃত্যু হল।
বেদরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিটু শেখ জানিয়েছেন, এত অল্প বয়সের প্রাণ এভাবে ঝরে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। রাজস্থানের ওই সংস্থা সৌভিকের পরিবারের পাশে দাঁড়াক এবং যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিক সেটাই সকলে চান। এখন একটাই প্রশ্ন, কফিনবন্দি দেহ কবে ফিরবে দারিয়াপুরে? সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে সৌভিকের পরিবার।