বহু বছর পর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে বিহারে। বুধবার পাটনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেষবার ১৯২২ সালে গয়ায় বিহারে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়েছিল। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম পাটনায় কংগ্রেসের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হচ্ছে। কারণ, বিহারের নির্বাচন কংগ্রেস তথা বিরোধীদের সামনে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম’-এর সমান।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পাটনায় কংগ্রেসের সদর দফতর সদাকাত আশ্রমে বসেছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। উপস্থিত রয়েছেন রাহুল গান্ধী, কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন, সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল, জয়রাম রমেশ, সচিন পাইলট, বিহার কংগ্রেসের প্রধান রাজেশ কুমার-সহ সিডব্লিউসির অন্যান্য শীর্ষ নেতা। আলোচনায় মূল গুরুত্ব পাবে ‘ভোট চুরি’ বিরোধী প্রচার জোরদার করা, বুথ পর্যায়ে সংগঠন মজবুত করা এবং ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারের উপায় খোঁজা। পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে যুব ও মহিলা কর্মীদের বাড়তি ভূমিকা দেওয়ার কথা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। এছাড়াও নেতারা বৈঠকে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া দ্রুত করার সিদ্ধান্ত নেবেন। এই বৈঠক থেকে বেশ কিছু বিষয় প্রস্তাব পাস করা হবে। সদ্য বিহারের ১৩০০ কিলোমিটার ভোটার অধিকার যাত্রা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেই যাত্রা সফল করার জন্য বিহার বাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব পাস করা হতে পারে।
বিহারে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এগোচ্ছে কংগ্রেস। ভোট চুরি ইস্যুকে আরও এগিয়ে নিজে নিয়ে যেতে চাইছে তারা। নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আলোচনা হবে। কংগ্রেস নেতাদের মতে, বিহারের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজ্যের নির্বাচনী প্রস্তুতিতেও গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেবে। বিহারে গত নির্বাচনে কংগ্রেস ৭০টি আসনে লড়ে মাত্র ১৯টি আসনে জিতেছিল। এবার রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রার সাফল্যে ভর করে কংগ্রেস ৭০টি এবং বেশি জেতার মতো আসন চাইছিল। তবে এবার ৬০ এর আশপাশে থাকবে। আসন্ন রফা নিয়ে ইতিমধ্যেই আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদবের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা বলেছেন কংগ্রেস নেতারা। শিগগিরই চূড়ান্ত আসুন রফা হয়ে যাবে।