বাংলাদেশে একাধিক জায়গায় বিগত কয়েক দিনে প্রতিমা ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। এই আবহে পুজোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ মহম্মদ ইউনুসের সরকারের। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২ অক্টোবর পর্যন্ত সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে দুই লাখের বেশি আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হবে। তিনি জানান, দুর্গাপুজোর সময় পূর্ণ নিরাপত্তার জন্য পূজামণ্ডপগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, যাতে ঝুঁকির ভিত্তিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া যায়। এদিকে দুর্গাপুজোয় ৭০০টি মণ্ডপকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে মনে করছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। এই মণ্ডপগুলিতে সেনা মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামে একটি মণ্ডপে ঢুকে প্রতিমা ভাঙা হয়েছিল। সেই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মনজের আলি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ দাবি করা হয়েছে, ধৃত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। উল্লেখ্য, বিগত দিনে বাংলাদেশে প্রায় অধিকাংশ প্রতিমা ভাঙার ঘটনায় ধৃতদের মানসিক ভারসাম্য আখ্যা দিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এই মনজের আলি অসুর, কার্তিক, সরস্বতীসহ ছয়টি বিগ্রহের মাথা ভেঙেছে। এর আগে সম্প্রতি গাজীপুরে কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে আংশিক প্রস্তুত ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছিল।
এদিকে কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশে দুর্গাপুজো পালনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল সেই দেশের ইউনুস সরকার। শুধু তাই নয়, সেই বিধিনিষেধ জারির পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। এই নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেছিলেন, পুজোর সময় মণ্ডপ চত্ত্বরে হওয়া মেলায় মদ, গাঁজা বিক্রি হয়। এই আবহে পুজোর সময় মেলার অনুমতি দেওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বাংলাদেশে। এই মন্তব্যের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম এবং দুর্গাপুজোকে কালিমলিপ্ত করেছেন বাংলাদেশি উপদেষ্টা। এদিকে পুজো মণ্ডপে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতে আনসার, পুলিশ এবং সেনা মোতায়েন রাখা হবে বলে জানিয়েছিলেন জাহাঙ্গির। তবে এর আগে প্রতিমা ভাঙার ঘটনায় পুলিশ হয় দোষীদের ধরতে পারছে না। আর ধরলেও তাকে 'মানসিক ভারসাম্য' আখ্যা দিয়ে শাস্তি থেকে রেহাই দিচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন।