ফের একবার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে সরব পাকিস্তানের 'বন্ধু' তুরস্ক। সেই দেশের প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগান রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ রাখার সময় কাশ্মীর নিয়ে 'জ্ঞান' দেন। এরই সঙ্গে আবার ভারতকে ইকোনমিক করিডোর নিয়েও 'হুঁশিয়ারি' দেন এরদোগান। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করে আসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তবে গতবছর রাষ্ট্রসংঘে নিজের ভাষণে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করেননি তিনি। তবে এবছর ফের একবার সেই একই পুরনো রেকর্ড বাজিয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেন এরদোগান।
গতকাল এরদোগান বলেন, 'রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবনা অনুযায়ী কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান হওয়া উচিত। এর জন্যে উভয়পক্ষের আলোচনায় বসা উচিত। কাশ্মীরি ভাই-বোনদে জন্য এটা চাই।' তাঁর কথায়, 'দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তি বিরাজ করতে দেখতে চায় তুরস্ক।' আর সেই তুরস্কই গত মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল সামরিক ভাবে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরপরই করাচিতে নিজেদের রণতরী পাঠিয়েছিল তুরস্ক। আবার অপারেশন সিঁদুরের সময় তুরস্কের ড্রোন ভারতের দিকে ধেয়ে এসেছিল। জঙ্গিদের মদতকারী পাকিস্তানকে সাহায্য করা এহেন তুরস্কের গলায় গতকাল ছিল শান্তির বার্তা।
এদিকে ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত একটি ইকোনমিক করিডোর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে মোদী সরকার। সেই পরিকল্পনায় অবশ্য তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই আবহে সেই প্রকল্প নিয়ে ভারতের নাম না নিয়েই কড়া হুঁশিয়ারি দেন এরদোগান। তিনি বলেন, 'তুরস্ক এবং তুর্কি প্রজাতন্ত্র সাইপ্রাসকে বাদ দিয়ে ইউরোপে কোনও প্রকল্প সফল হতে পারে না।' উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাইপ্রাসে গিয়েছিলেন। দখল থাকা সাইপ্রাসের সীমান্তে গিয়ে তিনি দূরবিন দিয়ে সীমান্তের ওপারে নজরও রেখেছিলেন। সেই দৃশ্য স্বভাবতই অস্বস্তিতে ফেলেছিল তুরস্ককে। এদিকে সম্প্রতি আবার ভারতের রণতরী সাইপ্রাসের বন্দরে গিয়ে পৌঁছেছে। গ্রিক নৌবহরের সঙ্গে অনুশীলনের পরে সেটি সাইপ্রাসে পৌঁছেছে। এছাড়া সাইপ্রাসের সঙ্গে ভারত সামরিক চুক্তিও করেছে। এই সব মিলিয়ে তুরস্কের রক্তচাপ বাড়িয়েছে ভারত।