রাতভর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গোটা কলকাতা। প্রায় স্তব্ধ জনজীবন। এই মুহূর্তে কলকাতার যা অবস্থা, তাতে আগামী কয়েক ঘণ্টাতেও জল সম্পূর্ণভাবে বেরিয়ে যাবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। এদিকে নিচু এলাকার মানুষ জল সংকটে রয়েছেন, ভেসে গিয়েছে বই পাড়া। সব মিলিয়ে যেন কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে মন খারাপ কলকাতাবাসীর।
তবে এই মন খারাপ আরও একটি কারণে, আগামী সপ্তাহেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহালয়ার দিন কলকাতায় ঠাকুর দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি যেন একেবারে অন্য কথা বলছে।
আরও পড়ুন: বেড়াজাল টপকে বাংলাদেশে সম্মানিত হল ‘পদাতিক’, ছবি ভাগ করে নিলেন সৃজিত
আরও পড়ুন: প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গ, স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা
কলকাতার এই বিপর্যয়ে সমস্যায় রয়েছেন টলি পাড়ার মানুষেরাও। ছোট্ট মেয়েকে বাড়িতে রেখে বৃষ্টি মাথায় করেই একটি ছোট্ট শ্যুট করতে বেরিয়েছিলেন অহনা। রাস্তায় জলমগ্ন কলকাতাকে দেখে ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায় তাঁর। সেই ভারাক্রান্ত মন নিয়েই করে বসেন ছোট্ট একটি ভিডিয়ো।
ভিডিয়োয় অহনাকে বলতে শোনা যায়, ‘কিছুক্ষণ আগে যা দেখলাম তা সত্যি খুব কষ্টকর। রাস্তায় গাড়ি ডুবে আছে, বাইক ডুবে আছে, প্যান্ডেলের মধ্যে জল ঢুকে গিয়েছে। খুব খারাপ অবস্থা। তবে কোথাও যেন মনে হচ্ছে চারিদিকে চলা অনাচার দেখে মা দুর্গা হয়তো ভীষণ রেগে গিয়েছেন। তাই এমন অবস্থা।’
আরও পড়ুন: বিতাড়িত নন, নিজেই ‘কল্কি’ ছেড়েছেন দীপিকা, নেপথ্যে রয়েছে কোন কারণ?
আরও পড়ুন: রামকমলের ‘বিনোদিনী’ এবার বোস্টনে, উচ্ছ্বসিত পরিচালক দিলেন বড় খবর
অহনা আরও বলেন, ‘তবে আমি দেবী দুর্গার কাছে এইটুকুই চাই, তিনি যেন রাগ না করে থাকেন। পুজোয় সবথেকে বেশি আনন্দ হয় শিশুদের, তারা তো নিষ্পাপ। বাচ্চাগুলোর মুখ চেয়ে অন্তত ঈশ্বর যেন সবাইকে ক্ষমা করে দেন। সবকিছু যেন ঠিক হয়ে যায় আগের মতো সবাই যেন খুব আনন্দ করতে পারে।’
সবশেষে অভিনেত্রী বলেন, ‘তবে এই দুর্গাপুজার চার দিন নয়, মানুষ যেন সারা জীবন প্রত্যেক নারীকে সম্মান করতে পারে। পৃথিবী থেকে অনাচার কমে গেলে তবেই হয়তো আবার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’