পুজোর আগে শরতের মেঘ নয়, বরং মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির সম্মুখীন হতে হল গোটা কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। ৬ ঘন্টায় প্রায় ২৫০ মিমি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গোটা কলকাতা। উদ্বোধনের পরেও ফের প্যান্ডেল ঠিক করার কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে কারিগরদের।
এমতাবস্থায় প্রত্যেকদিন যারা কর্মক্ষেত্রে বের হন, তাদের অবস্থা আরও বেশি শোচনীয়। ট্রেন, বাস, অটো করেও সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না কেউ। অন্যদের মতোই রাস্তায় বের হওয়ার পরেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেন না অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। নিজের অভিজ্ঞতার কথাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বেড়াজাল টপকে বাংলাদেশে সম্মানিত হল ‘পদাতিক’, ছবি ভাগ করে নিলেন সৃজিত
আরও পড়ুন: প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গ, স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা
প্রতি দুটি ছবি পোস্ট করেছেন যার মধ্যে প্রথমটিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি গাড়ির মধ্যে বসে রয়েছেন এবং সামনে একটি অটোর পেছনে লেখা, ধৈর্য খুব তেতো কিন্তু এর ফল খুব মিষ্টি। দ্বিতীয় ভিডিয়োয় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে কলকাতার বিপর্যস্ত বন্যা পরিস্থিতি।
ছবি পোস্ট করে শ্রুতি লেখেন, ‘নাহ, সব সময় ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয় না আসল হল সময় আর পরিস্থিতি। স্টুডিও যাওয়ার আধ ঘন্টার রাস্তা ধৈর্য ধরে আড়াই ঘন্টা ধরে গাড়িতে বসে বসেও পৌঁছাতে পারলাম না! এইবার বিকল্প ব্যবস্থার অপেক্ষায়। সবাই সাবধানে থাকবেন।’
শ্রুতির এই পোস্ট দেখে স্পষ্ট, এই মুহূর্তে কলকাতার অবস্থা কতটা ভয়ংকর। গাড়ি করে হোক বা হেঁটে, গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারছে না কেউই। তবে আশা করা যাচ্ছে, আগামী সময় যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে জমে থাকা জল শীঘ্রই নেমে যাবে। আবার স্বাভাবিক হবে জনজীবন।
আরও পড়ুন: বিতাড়িত নন, নিজেই ‘কল্কি’ ছেড়েছেন দীপিকা, নেপথ্যে রয়েছে কোন কারণ?
আরও পড়ুন: রামকমলের ‘বিনোদিনী’ এবার বোস্টনে, উচ্ছ্বসিত পরিচালক দিলেন বড় খবর
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে জি বাংলার জোয়ার ভাটা ধারাবাহিক রয়েছে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। শ্রুতি এবং আরাত্রিকার অনবদ্য অভিনয় ভীষণভাবে মুগ্ধ করছে দর্শকদের। আরাত্রিকা এবং শ্রুতি দুজনেই গুণী অভিনেত্রী তাই এই যুগলবন্দী ধারাবাহিককে করে তুলেছে আরও বেশি সুন্দর।
এই মুহূর্তে ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে, বাবার মৃত্যুর বদলা নেবে উজি আর নিশা। ঋষির গোটা পরিবারকে কেমনভাবে শাস্তি দেবে দুই বোন? জানতে হলে দেখুন জোয়ার ভাঁটা, সোম থেকে শনি ঠিক রাত ৯ টায়।