ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা। শহরের নানা জায়গায় জমে হাঁটু জল। গাড়ি চলাচল করতে পারছে না বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। ট্রেন পরিষেবাও ব্যাহত। শুধু কী তাই, বহু মানুষের বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সেই পরিস্থিতিতেই কলকাতার বাড়ির ভয়াবহ অবস্থা তুলে ধরলেন শ্রীনন্দা শঙ্কর।
শ্রীনন্দা তাঁর ভ্লগের মাধ্যমে তাঁর প্রতিদিনের নানা খুঁটিনাটি তুলে ধরেন তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে। তিনি বর্তমানে মুম্বইতে থাকলেও কলকাতায় তাঁর প্রায়শই যাতায়াত লেগে থাকে। নানা কাজে তাঁকে শহরে ফিরতে হয়। তাছাড়াও ছুটি কাটাতেও তিনি শহরে আসেন। কলকাতার বাইরে থাকলে তিনি মনে প্রাণে বাঙালি। তা তাঁর ভ্লগগুলি দেখলেই বোঝা যায়। এবারও তাই পুজোর আগে কলকাতায় এসেছিলেন শ্রীনন্দা।
আরও পড়ুন: 'দয়া করে কেউ শুভ...', প্রবল বর্ষায় মানুষের পাশে থাকার কাতর আর্জি জানালেন জিতু
তবে গত রাতে শহরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে এক প্রকার জনজীবন স্তদ্ধ। প্রবল বৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছে শহরের অলিগলি থেকে রাজপথ। সামনেই পুজো বহু প্যান্ডেলও ইতিমধ্যেই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে, সেই সব প্যান্ডেলও এই মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত। বহু মানুষের বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। শ্রীনন্দার বাড়ির অবস্থাও তার ব্যতিক্রম নয়।
মঙ্গলবার তিনি একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে অনুরাগীদের সঙ্গে তা ভাগ করে নেন। ভিডিয়োর শুরুতেই দেখা যায়। তাঁর বাড়ির নীচে এক কোমর জল দাঁড়িয়ে। বাইক থেকে গাড়ি সবই প্রায় জলের তলায়। তাঁদের বাড়ির সামনেই বাঁধা হচ্ছিল পুজোর প্যান্ডেল তার অবস্থাও বেশ ভয়াবহ। অর্ধেক বাঁশ জলে ভাসছে। শুধু তাই নয় বাড়ির নীচের তলাও জলমগ্ন। জল থইথই করছে মা তনুশ্রী শঙ্করের ডান্স স্টুডিয়োতে।
আরও পড়ুন: ‘হোমবাউন্ড’-এর স্পেশাল স্ক্রিনিং গিয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন মালাইকা-অর্জুন! ভাইরাল ভিডিয়ো
ভিডিয়োতেই শ্রীনন্দাকে বলতে শোনা যায়, ‘বাড়িতে কারেন্ট নেই। বিশ্বাস করতে পারছি না। আমরা বাঙ্গালুরুতে যাব, তাই সব জামা কাপড় গোছানো ছিল। কিন্তু সব স্যুটকেস সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছি।’ তারপরই তিনি তাঁদের ডান্স স্টুডিয়োর ছবি দেখান। সেখানে ভর্তি জল। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এটা আমাদের ডান্স স্টুডিয়ো। জল জমে আছে। জানি না জল কখন নামবে।’
তারপর তিনি তাঁর অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা সকলে সুস্থ আছেন তো? দয়া করে সাবধানে থাকুন। গাড়িগুলো সব জলে ঢুবে। বাইকটা তো দেখাই যাচ্ছে না। আমাদের বাড়ির সামনে এই অবস্থা। কলকাতার জন্য প্রার্থনা করুন। ছেলেবেলা থেকে কখনও এরকম অবস্থা দেখিনি।’