ছোট পর্দা হোক বা বড় পর্দা, অতি পরিচিত মুখ তনিমা সেন। কৌতুক চরিত্রেও বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছেন তিনি। তাছাড়াও নানা নেতিবাচক চরিত্রেও সাম্প্রতিক সময় তাঁকে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু পর্দায় তিনি যতই নেতিবাচক চরিত্র অভিনয় করুন না কেন, আসলে তাঁর মনটা সোনায় বাঁধানো। ফের তিনি তা প্রমাণ করলেন, আর তা ধরা পড়ল মানসী সেনগুপ্তর ভ্লগে।
মানসী তাঁর রোজনামচা তাঁর নানা ভ্লগের মাধ্যমে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। বর্তমানে 'রাজরাজেশ্বরী রানি ভবানী' ধারাবাহিকে মানসীর সঙ্গে তনিমাকেও দেখা যাচ্ছে। মেগার মেকআপ রুম থেকে মাঝে মাঝেই নানা ভিডিয়ো ভাগ করে নেন মানসী। সেরকম একটি ভিডিয়ো তিনি মঙ্গলবারও ভাগ করে নেন। তবে এর স্বাদ ছিল একেবারে ভিন্ন।
আরও পড়ুন: প্রথমবার প্রকাশ্যে পরিনীতির বেবি বাম্প, ভ্লগে শেয়ার করলেন মাতৃত্বের অনুভূতি
জানেন তা কী রকম? আসলে ক্যামেরার সামনে যে মানুষগুলো থাকেন দর্শকরা তাঁদের প্রতিনিয়ত দেখতে পান। কিন্তু যাঁদের ছাড়া মেগা হোক বা ছবি সিরিজ কিছুই সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করা সম্ভব না। যাঁরা ক্যামেরার পিছনে থাকেন, তাঁদের খোঁজ সবাই রাখেন না। কিন্তু পুজো হোক বা উৎসব তা তো সবারই। তবে বর্তমানে অনেকেই তা ভুলতে বসেছেন সেখানেই তনিমা যেন সকলকে ফের তা নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন। নিজের হাতে পুজোর আগে পুজোর জন্য নতুন নতুন উপহার তুলে দিলেন ক্যামেরার পিছনে থাকা মানুষগুলোর হাতে।
এই উপহার পেয়ে তাঁরাও দারুণ খুশি। সকলের মুখে হাসি। সকলেই একবার করে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করছেন। তবে সেই প্রণাম নিতে কিছুটা হলেও দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন তনিমা। আসলে সকলের মুখের আন্তরিক হাসিটাই তাঁর কাছে শ্রদ্ধার নিদর্শন। সকলকে নতুন জামা দিতে দিতে অভিনেত্রী এও বলেন, ‘যদি তোমাদের কারুর কোনও রং পছন্দ না হয়, তবে একে অপরের সঙ্গে অদল-বদলও করে নিও।’
আরও পড়ুন: প্রথমবার জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে শাহরুখ খান, কাঁচা পাকা চুল দাড়ি নিয়েই এলেন ‘কিং’
এই ভিডিয়ো দেখে নেটিজেনরা ভালোবাসায় ভরে দিয়েছেন তনিমাকে। একজন লেখেন, ‘তনিমা সেন, শুধুমাত্র একজন সু অভিনেত্রী বা দক্ষ লেখিকা নন, একজন খুব সুন্দর মনের মানুষ। আমরা যে খারাপ সময়ের মধ্যে বাস করি, তার মাঝে তিনি এক ব্যতিক্রমী চরিত্র। আপনার মঙ্গল হোক।’ আর একজন লেখেন, ‘ওঁর মতো মানুষই হয় না। কত মানুষ কত কথা বলে, পুজোর সময় নিজের জামা কাপড় না নিয়েও সবার জন্য ভাবে কত বড় মনের মানুষ। শুধু ইন্ডাস্ট্রিজ ভিতরে দেওয়া হয় তা নয় এর বাইরে অনেক জামাকাপড় দেয়, দিদি আপনি ভালো থাকুন সবাইকে এই ভাবে হাসিমুখে রাখুন।’
তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তনিমাকে বলতে শোনা গিয়েছিল তিনি নাকি যথেষ্ঠ আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন সেই প্রসঙ্গ টেনে এক অনুরাগী বলেন, ‘এটা তো আমাদের গর্ব হওয়া উচিত ওঁর কাছে টাকা নেই তা সত্ত্বেও তিনি সবার জন্য চিন্তা করে। আমরাও যদি এরকম সবার পাশে দাঁড়াই, যার যেরকম সামর্থ্য আছে সেই ভাবে যদি পুজোর সময় সবার হাসির ফোটায় এটাই তো আমাদের আনন্দ।’