বাংলা সিনেমা জগতের স্বর্ণযুগের অন্যতম সেরা অভিনেতা বলতেই বাঙালি বোঝেন উত্তম কুমারকে, আপামর বাঙালি জাতির কাছে তিনি মহানায়ক। ২০২৫ সালে তাঁর জন্মশতবর্ষ উদযাপন শুরু হল। প্রবাসের পুজোতেও তাঁর স্মরণে থাকছে তাঁর ছবির পোস্টার দিয়ে সাজানো ‘হল অফ ফেম’, থাকছে গানে গানে উত্তম স্মরণ। উদ্যোগে বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন।
এই আয়োজন বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে লন্ডনের বুকে তুলে ধরে প্রতি বছর। এবছর ১৭তম বছর লন্ডন শারদ উৎসবের। প্রতি বছরের মতো এই বছরের পুজোতেও আছে অনেক রকমের আকর্ষণ।চন্দননগরের আলোকসজ্জা ভরিয়ে তুলবে গানার্সবারি পার্ক স্পোর্টস হাব, যা দশ হাজার বর্গ ফুটের একটি ইনডোর স্পেস। ইউরোপের সর্ববৃহৎ দুর্গা পুজোর স্থান বলা হয় একে। এখানে ঢুকলেই একশো পঞ্চাশ ফুটের দেওয়াল জুড়ে থাকবে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। বকুল তলার মঠে থাকছে পেট পুজোর আয়োজন। থাকছে কলকাতার স্ট্রিট ফুড, দিল্লির মতো চাট, ইন্দো চাইনিজ খাবার। এছাড়াও থাকছে রসগোল্লা, জিলিপি, পান। যা ক্ষণে ক্ষণে মনে করিয়ে দেবে কলকাতার রাস্তার কথা। পুজোর দায়িত্বে থাকবেন কলকাতার পুরোহিত। নবপত্রিকা স্নান থেকে শুরু করে পুষ্পাঞ্জলি, সন্ধি পুজো, কুমারী পুজো, হোম, চন্ডীপাঠ , সিঁদুর খেলা সবই আগেরবারের মতো এবারের পুজোতেও থাকবে।
অন্যদিকে রঙ্গমঞ্চে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। এস.ডি ও আর.ডি. বর্মনের স্মরণে গানের অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, ঢাকি, ধুনুচি নাচ, গানের লড়াই, আর থাকছে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত শারদীয়া পার্বনী বিশেষ পত্রিকা। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর-২৮ সেপ্টেম্বর দুর্গোৎসব পালিত হবে গানার্সবারি পার্ক স্পোর্টস হাবে। এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে।
বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন এবং (বিএইচএফ) লন্ডন শারদ উৎসব এর সভাপতি কৌশিক চট্টোপাধ্যায় এই আয়োজন নিয়ে জানালেন, ‘এই বছরের লন্ডন শারদ উৎসব ইউরোপে দেখা সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে প্রাণবন্ত উদযাপন হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। যেহেতু আমরা দুর্গা পূজার জাঁকজমককে লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রে নিয়ে এসেছি, আমরা সবাইকে এতে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা যা এখানে একটি অভূতপূর্ব মাত্রা উৎসবের সাথে যোগ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আসুন আমরা এই উদ্যোগকে স্মরণীয় করে তুলি!’