মহালয়া মানেই বাংলায় শুরু হয়ে যায় পুজোর আমেজ। কিন্তু পুজোর মধ্যেও মেঘলা আকাশ, ভ্যাপসা গরম আর মাঝে মধ্যেই প্রচণ্ড রোদ। এই অবস্থায় ত্বককে সুন্দর ও জেল্লাদার রাখা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। ত্বকের খেয়াল রাখার জন্য তাই একটি স্পেসিফিক স্কিন কেয়ার রুটিন করে নিন। তাহলে পুজোর চারদিন আপনিই নজর কাড়বেন সকলের।
ব্যবহার করুন সঠিক ক্লিনজার - কখনও বৃষ্টি কখনও আবার খটখটে রোদের আবহাওয়ার মধ্যে ত্বককে ঠিক রাখতে pH-ভারসাম্যপূর্ণ ক্লিনজার ব্যবহার করুন। pH ব্যালেন্স ঠিক না থাকলে এমন আবহাওয়ায় ত্বকের বেশ সমস্যা হতে পারে। তেল এবং ময়লা অপসারণের জন্য দিনে দুবার এই ক্লিনজার ব্যবহার করুন। যদি বৃষ্টিতে ভিজে যান, তাহলে ময়লা ধুতে এবং ব্রণ হওয়া আটকাতে দ্রুত মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ত্বক হাইড্রেট রাখুন সঠিক ময়েশ্চারাইজারে - ত্বক হাইড্রেট করার জন্য হালকা, জল-ভিত্তিক, অথবা জেল-ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এই ধরনের আবহাওয়ায় আপনার ত্বক খুব শুষ্ক বা খুব তৈলাক্ত হয় কি না তা আগে দেখে নিন। সেই মতো বেছে নিতে হবে ময়শ্চারাইজার।
প্রচুর জল পান করুন - ভ্যাপসা গরম আর বৃষ্টির জেরে ত্বক দ্রুত ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই এই সময় প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন নিয়ম করে। এতে ত্বকের জেল্লা অনেকটাই সুরক্ষিত থাকে।
আরও পড়ুন - পুজোয় অতিথিদের বানিয়ে দিন শাপলা ফুলের বড়া, জমে যাবে আড্ডা!
আরও পড়ুন - ব্রিটিশ বিরোধী স্বদেশিয়ানার প্রতীক! বাংলার জয়গাথা হয়ে উঠেছিল মায়ের এই ব্রত
সানস্ক্রিন দিয়ে সুরক্ষিত রাখুন - ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন কমপক্ষে SPF 30-এর ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন লাগান। আকাশ মেঘলা থাকলেও এটি লাগান। ত্বক অয়েলি হলে ম্যাট বা জেল-ভিত্তিক ফর্মুলা বেছে নিন।
এক্সফোলিয়েট করুন - পুুজোর সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার হালকা স্ক্রাব দিয়ে এক্সফোলিয়েট করুন, এতে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বকের ছিদ্র থেকে ময়লা বেরিয়ে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার থাকে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেছে নিন - অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা দেয়। এই সুরক্ষা দিতে ত্বকে এখন থেকেই নিয়মিত ভিটামিন সি সিরাম লাগান। এটি ত্বকের নিচে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে ত্বককে জেল্লাদার রাখে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা কথার ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য নিয়ে যে কোনও প্রশ্ন, যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসক বা পেশাদার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।