২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সব খরচ ধরে সংস্থার আয় ছিল গড়ে ১২ শতাংশ। সেই আয় ২০২২ সাল থেক ২০২৫ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ শতাংশ। ৭ শতাংশের এই বৃদ্ধিকে বর্তমানে যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে দেখছে পিয়ারলেস হাসপাতাল। রাজ্যের মধ্যে তাদের হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ ছিলই, এবার রাজ্যের বাইরেও পা রেখেছে এই সংস্থা। গুয়াহাটিতে সেজে উঠেছে পিয়ারলেসের নতুন হাসপাতাল। মাত্র এক বছরের মধ্যেই অন্য সংস্থার থেকে পাওয়া এই হাসপাতাল নিজেদের মতো করে সাজিয়ে শুরু করে দেওয়া হয়েছে পরিষেবা। গত জুলাই থেকেই ২৫০ বেড নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে পরিষেবা।
আরও পড়ুন - শত্রুও আটকাতে পারবে না প্রোমোশন! অফিস ডেস্কে রাখুন ৩ জিনিস, জানাচ্ছে ফেং শুই
১১০০ কোটি বিনিয়োগের লক্ষ্য
পিয়ারলেস গ্রুপের সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থার কর্তারা বলেন, ‘কোভিডের আগে প্রতি বছর সংস্থার মূলধন বৃদ্ধির হার ছিল ৪ শতাংশ। সংস্থার ক্ষতি ছিল ১১ শতাংশ। কোভিডের পর অবস্থার উন্নতি হয়েছে অনেকটাই। ২০২২ সাল থেকে পরিসংখ্যান বলছে, নয়া ব্যবস্থায় সংস্থার আয় ১২ শতাংশ ও বার্ষিক মূলধন বৃদ্ধি ১৫ শতাংশ।’ সংস্থার এই বর্ধিত মূলধনই ফের ব্যবসায় নিয়োজিত করার লক্ষ্য নিয়েছেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জয়ন্ত রায়। তাঁর কথায়, রাজ্যে ১০০০ কোটির নিয়োগ করতে চলেছে তাঁর সংস্থা। এর মধ্যে অধিকাংশই হাসপাতাল খাতে ব্যয় হবে। এছাড়াও কিছু অংশ সংস্থার অন্যান্য ব্যবসা যেমন রিয়েল এস্টেট ও সিকিউরিটিজ খাতে ব্যয় করা হবে। ইতিমধ্যে চলতি বছরে হাসপাতাল ও রিয়েল এস্টেট খাতে ৩০০ কোটির বেশি ব্যয় করা হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন সংস্থার কর্তারা।
সিএসআর খাতে বিনিয়োগ
প্রসঙ্গত, গত জুনেই নিউটাউনে ‘ত্রয়ম’ নামে এক রিয়েল এস্টেট প্রকল্পের লঞ্চ করেছে পিয়ারলেস গ্রুপ। এছাড়াও, সিএসআর বা কর্পোরেট সোশাল রেসপন্সবিলিটিতেও বরাদ্দের থেকে বেশি বিনিয়োগ করছে পিয়ারলেস গ্রুপ। ২ শতাংশের বদলে ৩.২ শতাংশ বিনিয়োগ করে প্রায় ৪০ হাজার জীবনে উল্লেখযোগ্য বদল এনেছে এই সংস্থা।