জুবিন শোকে স্তব্ধ অসম। গোটা রাস্তা জুড়ে শুধুই তিনি! অসমের বিখ্যাত ‘গামোছা’য় লেখা ‘জ়ুবিন গর্গ চিরকাল বেঁচে থাকবেন আমাদের হৃদয়ে’। কাতারে কাতারে লোক পথে নেমেছে। সবার চোখে জল। প্রিয় গায়কের নিথর দেহ এক ঝলক দেখতে গোটা অসম রবিবার যেন সরুসাজাই স্টেডিয়ামমুখী।
গত শুক্রবার সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে আচমকাই শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন জুবিন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার রাতে বিশেষ বিমানে জুবিনের নিথর দেহ এসে পৌঁছায় নয়া দিল্লি। সেখান থেকে আজ ভোরে শেষবারের মতো অসমের মাটি ছুঁল প্রাণের ছেলের নিথর দেহ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গের শেষকৃত্য নিয়ে রবিবার রাতে একটি আপডেট শেয়ার করেছেন।
মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন যে জোরহাটে তাঁর নামের একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হবে। রবিবার তাঁর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে একটি নতুন পোস্টে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী জুবিনের শেষকৃত্যের আপডেটের একটি নতুন তালিকা শেয়ার করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন সোমবারও ভোগেশ্বর বড়ুয়া স্টেডিয়ামে শায়িত থাকবে গায়কের দেহ। জুবিনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রবিবার সারা রাত খোলা থাকবে স্টেডিয়াম।
আগামি ২৩শে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার গায়কের শেষকৃত্য় সম্পন্ন হবে। অসমে রাষ্ট্রীয় শোক মঙ্গলবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পরিবারের সাথে আলোচনার পরে, কামরূপ জেলার কামারকুচি এনসি গ্রামের হাথিমুরায় ১০ বিঘা জমিতে জুবিন গর্গের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে এবং সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জুবিন গর্গের চিতাভস্ম জোরহাটে নিয়ে যাওয়া হবে এবং ঐতিহাসিক শহরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে সম্মান জানাতে সেখানেও একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হবে।
জুবিন গর্গ গত ১৯শে সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে একটি স্কুবা ডাইভিং দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মারা যান। তিনি নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া উৎসবে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন, যেখানে ২০ সেপ্টেম্বর পারফর্ম করার কথা ছিল তাঁর। একজন প্রসিদ্ধ এবং প্রিয় শিল্পী, জুবিন একাধিক ভাষায় নিজের গায়েকীর ছাপ রেখে গেছেন, অসমীয়া, হিন্দি এবং বাংলা ভাষায় আইকনিক গান পরিবেশন করেছেন। তাঁর সবচেয়ে স্মরণীয় হিন্দি গান গ্যাংস্টারের চার্ট-টপিং হিট ইয়া আলি, যা সারা দেশের সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে আজও সমান জনপ্রিয়।