ভোর রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বহু মানুষ বৃষ্টির তীব্রতা কতটা তা বুঝতে পারেননি। ঘুম থেকে উঠে চারিদিকের বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে আন্দাজ করতে পেরেছেন, রাতভর কতটা তাণ্ডব করেছে প্রকৃতি। কিন্তু এর মধ্যে কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা এই দুর্যোগের সামনাসামনি হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেই অন্যতম কাঞ্চন মল্লিক।
দুর্যোগের রাতে ভোর তিনটের সময় তিনি শ্যুটিং থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। প্রকৃতির ভয়াল রূপ চোখের সামনে দেখার সৌভাগ্য অথবা দুর্ভাগ্য হয়েছে তাঁর। প্রাণ হাতে করে বাড়ি ফিরে যেন অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরলেন সকলের সামনে। শ্রীময়ীকে সঙ্গে নিয়ে বললেন, বিগত বহু বছরে এমন বৃষ্টি কেউ কখনও দেখেনি।
আরও পড়ুন: বিতাড়িত নন, নিজেই ‘কল্কি’ ছেড়েছেন দীপিকা, নেপথ্যে রয়েছে কোন কারণ?
আরও পড়ুন: রামকমলের ‘বিনোদিনী’ এবার বোস্টনে, উচ্ছ্বসিত পরিচালক দিলেন বড় খবর
কাঞ্চন বলেন, ‘আমি গতকাল যখন কাজ ছেড়ে বাড়ি ফিরছিলাম ঠিক তখনই বৃষ্টি শুরু হয়। কিন্তু এই রকম মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি আগে কখনও দেখিনি। যারা ঘুমিয়ে ছিলেন তারা আন্দাজও করতে পারবেন না ঠিক কতটা জোরে বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় যে কোন মুহূর্তে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যেতে পারত।’
কাঞ্চন আরও বলেন, ‘যিনি আমাদের ড্রাইভার তিনি বাড়ি যেতে পারেননি। বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়। সকালবেলা বাড়ি গিয়েছেন। অন্যদিকে যারা প্রতিদিন আমাদের বাড়ির কাজে সাহায্য করেন তারা কেউ আসতে পারেনি। চারিদিক বিধ্বস্ত অবস্থা। দুর্গাপুজোর আগে এমন কলকাতার রূপ দেখে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগছে।’
আরও পড়ুন: বেড়াজাল টপকে বাংলাদেশে সম্মানিত হল ‘পদাতিক’, ছবি ভাগ করে নিলেন সৃজিত
আরও পড়ুন: প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গ, স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা
কাঞ্চনের পাশাপাশি শ্রীময়ী বলেন, ‘যারা ছোট ছোট ব্যবসায়ী, যারা এই পুজোর কটা দিন ঘিরেই অনেক স্বপ্ন দেখেন তাদের জন্য ভীষণ খারাপ লাগছে। আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমার নিজেরও বাড়িতে প্রচুর কাজ বাকি ছিল, সবকিছু মিলিয়ে ভীষণ ঘেঁটে আছি। জানি না কি হবে।’