রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা নিয়ে গকাল রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে বড় বিবৃতি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই যুদ্ধের জন্য ফের একবার ভারতকে দায়ী করেন ট্রাম্প। তবে এরপরই ভারতকে নিয়ে বড় দাবি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই যুদ্ধে ভারত মূলত ইউক্রেনের পাশে রয়েছে। তিনি অবশ্য জ্বালানি খাতে ভারতের কিছু 'সমস্যার' কথা স্বীকার করেছেন, তবে এই 'সমস্যাগুলি' সমাধান করা যেতে পারে বলেও যোগ করেছেন জেলেনস্কি। এদিকে তাঁর এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বম্ঞ্চে প্রকাশ্যে ভারতের নামে ইউক্রেন যুদ্ধের দায় চাপাতে চাইলেন।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (ইউএনজিএ) দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার তেল কিনে ইউক্রেনে রুশ যুদ্ধের 'প্রধান অর্থদাতা' ভারত এবং চিন। ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ান তেল কেনার জন্য ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর জেরে ভারতের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত মোট শুল্ক ৫০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। এদিকে আমেরিকা ভারতে ওপর শুল্ক চাপালেও নিজেরা রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম কেনা জারি রেখেছে। এদিকে ইউরোপও রাশিয়ার থেকে জ্বালানি কিনছে। এদিকে ভারতে শোধিত রুশ জ্বালানি তেলও সস্তায় কিনছে ইউরোপ। এমনকী ভারতের থেকে বিপুল পরিমাণ ডিজেল কেনে ইউক্রেন নিজে।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় তাঁর বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের একবার ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধের প্রসঙ্গ তোলেন। রাষ্ট্রসংঘে দাঁড়িয়ে তিনি দাবি করেন যে, তিনি বিশ্বের ৭ যুদ্ধ থামিয়েছেন, তার মধ্যে ভারত-পাক যুদ্ধ অন্যতম। এখানেই শেষ নয়। রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ট্রাম্প, রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে দিল্লি ও বেজিং-কেও বিঁধতে ছাড়েননি। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধরত রাশিয়ার থেকে ভারত ও চিনের তেল কেনা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, 'রাশিয়ান তেল কেনা অব্যাহত রেখে চিন এবং ভারত চলমান (রাশিয়া-ইউক্রেন) যুদ্ধের প্রধান অর্থদাতা হয়ে উঠেছে।' ট্রাম্প তাঁর ভাষণে দাবি করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ হতই না।