রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ভারত আরও একবার পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। মানবাধিকার কাউন্সিলের ফোরামে ভারত পাকিস্তানকে তাদের অবৈধ দখলদারিত্ব ছেড়ে দেওয়ার বার্তা দিয়েছে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতেও প্রতিবেশী দেশকে টার্গেট করেছে ভারত। এ ছাড়া খাইবার পাখতুনখোয়ায় সাম্প্রতিক বোমা হামলার জন্য পাকিস্তানের সমালোচনা করেছে ভারত। বোমা হামলায় ২০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিক ক্ষিতিজ ত্যাগী বলেন, 'আমাদের ভূখণ্ডের প্রতি লোভ ত্যাগ করা উচিত পাকিস্তানের। ভারতীয় ভূখণ্ডে পাকিস্তানের অবৈধ দখলদারিত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত। ধুকতে থাকা অর্থনীতি, সামরিক প্রভাব ও নিপীড়নের রাজনীতিতে কলঙ্কিত পাকিস্তানের উচিত তাদের মানবাধিকার রেকর্ডে মন দেওয়া এবং তা উন্নতি করা।'
ভারতীয় কূটনীতিক আরও বলেন, 'সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান। রাষ্ট্রসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিতে এবং নিজেদের জনগণের ওপর বিস্ফোরণ চালাচ্ছে তারা।' উল্লেখ্য, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তিরাহ উপত্যকার মাত্রে দারা গ্রামে পাকিস্তান বিমান বাহিনী তাদের নিজেদের দেশের সধারণ নাগরিকদের উপর হামলা চালিয়েছে। সেই হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশুও রয়েছে। এই ঘটনাটি সেপ্টেম্বর রাতে ঘটে এবং বেশ কয়েকটি স্থানীয় সূত্র অনুসারে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের চিনা জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান থেকে গ্রামে কমপক্ষে আটটি এলএস-৬ বোমা ফেলেছিল।
গ্রামবাসীরা বলছেন, এই বোমা হামলায় গ্রামটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। বিস্ফোণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মৃতদেহগুলি। বাড়িঘর এবং রাস্তা ধুলোয় মিশে যায়। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বা সরকারি সূত্রের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি এই হামলা প্রসঙ্গে। তবে অভিযানের শুরুতে দাবি করা হয়েছিল, টিটিপি জঙ্গিদের নিশানা করে এই হামলা করা হয়েছে।
এর আগেও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ ও বালোচিস্তানে সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা করেছে পাক সেনা। সেই সব নৃশংসতা নিয়ে নীরব থেকেছে পাকিস্তানের সরকার। এদিকে খাইবার প্রদেশের এই সাম্প্রতিকতম ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন দাবি করেছে, পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান কোনও হামলা করেনি। তারা বলেছে যে মজুত থাকা বিস্ফোরকের থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এতে ১৪ জন জঙ্গি সহ ২৪ জন নিহত হয়েছে।