গত পরশু রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে ২৩ সেপ্টেম্বর গোটা দিন বিপর্যস্ত ছিল কলকাতা। শহর জুড়ে ১১ জনের মৃত্যু হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। বহু জায়গায় হাঁটু জল তো অনেক জায়গায় আবর মর জল জমেছিল। রেকর্ড বৃষ্টিতে জমা জল সরাতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল পুরসভার। তবে ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে নতুন করে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি কলকাতা এবং শহরতলিতে। তবে রাতেও জল জমেছিল কলকাতার বহু অঞ্চলে। আর আজ সকাল সকাল রোদ উঠেছে কলকাতার আকাশে। এই আবহে তিলোত্তমার রাস্তায় রাস্তায় কি জল নেমেছে?
রিপোর্ট অনুযায়ী, পার্ক সার্কাসের একটা অংশে জল এখনও নামেনি। এদিকে পাটুলিতেও জল রয়েছে রাস্তায়। এছাড়া মুকুন্দপুরের চিত্রটাও প্রায় এক। পাম্পের সাহায্যে জল নামানোর কাজ চলছে জলমগ্ন এলাকাগুলিতে। গতকাল মিন্টো পার্ক অঞ্চলে এজেসি বোস রোড জলের তলায় চলে গিয়েছিল। সেখানে কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। আজও সেখানে জল পুরোপুরি নামেনি সকালের দিকে। এদিকে চিংড়িহাটা বা সল্টলেকের বেশ কিছু জায়গায় জল নেমেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। উত্তরের শহরতলিতেও বেশ কিছু জায়গায় রাস্তায় জল জমেছিল গতকাল। সেই জল নেমেছে। এদিকে অঘটন এড়াতে জল না-নামা পর্যন্ত বিধাননগর পুর এলাকায় পথবাতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল গতকাল। আজ আবহাওয়া কেমন থাকে তার ওপর নির্ভর করবে পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক হবে।
এছাড়া স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রেবোর্ন রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী, সেন্ট্রাল এভিনিউ (এমজি রোড ক্রসিং থেকে গিরিশ পার্ক), বিবেকানন্দ রোড, এপিসি রোড, জেএম অ্যাভিনিউতে জল নেমেছে বলে জানিয়েছে পুরসভা। উত্তর, দক্ষিণ এবং মধ্য কলকাতার বহু এলাকাই গতকাল রাত পর্যন্ত জল জমেছিল। এদিকে গতকাল ভারী বৃষ্টিতে গতকাল ভোররাত থেকেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল হাওড়া এবং শিয়ালদা শাখার রেললাইন। এই আবহে ব্যাহত হয়েছিল রেল পরিষেবা। শিয়ালদার দক্ষিণ ইয়ার্ড, চিৎপুর উত্তর কেবিন জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। হাওড়া ডিভিশনেও রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল গতকাল। এমনকী মেট্রো লাইনে জল ঢুকে গিয়ে বিঘ্নিত হয়েছিল মেট্রো পরিষেবাও। তবে গতকাল পাম্প করে সেই জল বের করা হয়। রেল লাইনের জলের সঙ্গে আশপাশের এলাকার জমা জলও মিশে যাওয়ায় নিষ্কাশন কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে গতকাল সন্ধ্যা নাগাদই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যায়।